মহালছড়িতে পায়খানার গর্তে পড়ে তিন সহোদরের অকাল মৃত্যু

Published: 18 May 2015   Monday   

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মনারটেক এলাকায় পায়খানার ট্যাংক থেকে এক ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে একই পরিবারের তিন সহোদরের অকাল মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন দৈনিক ভোরের কাগজে পত্রিকার মহালছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি প্রদীপ শশী চাকমা ও তাঁর দুই ছোট ভাই হলেন হেভেন্টু চাকমা (৩৫) ও উভেন্টু চাকমা (৩২)।

 

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার পায়খানার গ্যাসক্রিয়ায় আরও দুইজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় পুরো মহালছড়ি উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

প্রদীপ শশী চাকমার স্ত্রী উজ্জলা চাকমা জানান, সোমবার রাত পৌণে ১২টার দিকে ছোটভাই উভেন্টু চাকমা বাড়ি থেকে একটু দূরের পায়খানায় গিয়ে দূর্ঘটনাবশত: স্ল্যাব ভেঙে পড়ে যান। তার চিৎকার শুনে প্রদীপ শশী চাকমা ও হেভেন্ট চাকমা তাকে উদ্ধার করতে যান। কিন্তু উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও পায়খানার গর্তে পড়ে গিয়ে তিন জনই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।


প্রতিবেশী রত্ন চাকমা জানান, খবর পেয়ে গর্ত থেকে তিন ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, পায়খানার ট্যাংকে জমে থাকা গ্যাসের বিষক্রিয়াতেই তাঁদেও মৃত্যু হয়েছে ধারনা। এই ঘটনায় রিপন চাকমা (২০) বাবলুক চাকমা (২২) নামে আরও দুইজন অসুস্থ হয়ে মহালছড়ি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

 

হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তানজিল ফরহাদ জানান, হাসপাতালে তিনজনকেই মৃত অবস্থায় আনা হয়। দীর্ঘদিনের জমে থাকা গ্যাসের ক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয় বলে তিনি জানান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিপন চাকমা (২০) বাবলুক চাকমার (২২) অবস্থা উন্নতির দিকে বলেও ওই চিকিৎসক জানান।

 

মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেমায়ুন কবীর জানান, তিন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত