রোয়াংছড়িতে পিসিপির নেতাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করেছে সেনা সদস্যরা

Published: 19 May 2015   Tuesday   

মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের(পিসিপি) এক নেতাকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। আটক পিসিপির নেতার নাম প্রীতিভূষণ তঞ্চঙ্গ্যা (২৮)। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী  ইউএনও কার্যালয়সহ বাজারের বেশ কিছু দোকান পাট ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ব্যাবসায়ীরা কয়েক ঘন্টা দোকানপাট বন্ধ রাখে।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) জেলা শাখার সভাপতি উছোমং মার্মা  দাবী করেছেন প্রীতিসেন চাকমা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করতে গিয়ে পিসিপি নেতা প্রীতিভূষন তঞ্চঙ্গ্যাকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলি করে আটক করেছে। ঘটনাটি সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে।  পিসিপির  জেলা শাখার সভাপতি উবাচিং মার্মা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে  দাবী করেছেন পিসিপির  নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নয়। মিথ্যা অভিযোগে অমানবিকভাবে গুলি করে প্রীতি ভুষনকে আটক করেছে।

 

তবে জেলা সদর জোনের সেনাবাহিনীর লে:কর্ণেল পর্যায়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, গুলিবিদ্ধ পিসিপি’র নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেনা সদস্যরা তাকে আটক করতে গেলে সে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পালানোর সময় পায়ে গুলি করে তাকে আটক করা হয়েছে।

 

এদিকে, এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে  মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য, জেএসএসের নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় ব্যক্তি, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সমন্বয়ে রোয়াংছড়িতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবামং মার্মা বলেন, সদর জোনের সিও, লে:কর্ণেল নাজমুল হকের সাথে  বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। দোকানপাত খুলতে শুরু করেছে।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের গত ৯ তারিখ শহরের বালাঘাটা এলাকায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিস ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদককে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় পিসিপির নেতাকর্মীসহ বেশ কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। গুলিবিদ্ধ পিসিপির নেতার বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ রয়েছে।

 

রোয়াংছড়ি থানা ওসি আব্দুস সাত্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সেনা ও বিজিবি সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছে।

 

রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসমাইল হোসেন অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পুলিশের উদ্ধৃত্তি দিয়ে বলেন, এ ঘটনায় বিক্ষুব্দ এলাকাবাসীরা অফিসের কম্পিউটারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত