দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত কল্পনা চাকমা অপহরন মামলার ২২তম শুনানির দিন বুধবার রাঙামাটিতে জেলা আদালতে ধার্য্য করা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরের সামনে কল্পনা চাকমার অপহরনের সাথে জড়িতদের শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সিমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাইল্যাঘোনা গ্রাম থেকে অজ্ঞাতনামা দৃস্কৃতকারীরা অপহরন করে নিয়ে যায়। অবশ্যই কল্পনা চাকমার পরিবার ও তার সংগঠনের পক্ষ থেকে সেনা বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ফেরদৌসকে দায়ী করেছিল। সরকার জনমতের চাপের মুখে একটি বিচার বিভাগীয় কমিটির গঠন করলেও রিপোর্ট আজও প্রকাশিত হয়নি। অবশেষে এক যুগেরও অধিক সময়ের পর ২০১০ সালের ২১ মে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করে। এতে মামলার বাদী ও অপহৃতার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা না রাজি দাবি করে ঘটনার পুনঃতদন্তের জন্য আদালতের কাছে দাবি জানান। আদালত পুনতদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিলে ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। তবে আদালত সিআইডির দেয়া প্রতিবেদনটি যথাযথ হয়নি তা প্রত্যাখান করে জেলা পুলিশ সুপারকে মামলার অধিকতর তদন্তের করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নিদের্শ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবির সূত্রে জানা গেছে, কল্পনা চাকমার অপহরন মামলার ২২তম শুনানির দিন বুধবার রাঙামাটিতে জেলা আদালতে ধার্য্য করা হয়েছে। এ পর্ষন্ত ৩৫ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা এ মামলার তদন্ত করেছেন। যদিও ১৯ বছরে এ মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।
সূত্র আরও জানায়, ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর আদালত সিআইডির দেয়া প্রতিবেদনটি যথাযথ হয়নি তা প্রত্যাখান করে তৎকালীন পুলিশ সুপার আমেনা বেগমকে মামলার অধিকতর তদন্তের করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নিদের্শ দেন। এ পর্ষন্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আদালতের কাছে মোট ২০ বার সময় চেয়েছেন।
এদিকে, বুধবার কল্পনা চাকমার অপহরনের সাথে জড়িতদের শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সিমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.