টানা বর্ষনে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষনের কারণে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। জরুরী কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে নিম্ম আয়ের লোকজন পড়েছেন চরম বেকায়দায়।
জানা গেছে, গত চার দিনে ধরে টানা ভারী বর্ষনের কারণে খাগড়াছড়ি শহরের মেহেদীবাগ, উত্তর গঞ্জপাড়া, মুসলিম, আনন্দ নগর, গোলাবাড়ী, রাজ্যমনি পাড়া ও শান্তি নগর সহ জেলা সদরের নিুাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া জেলা সদরের ডিসি বাংলো পাহাড়, সবুজ বাগ, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধ্বসের খবর পাওয়া গেছে। ফলে শহরের বিভিন্ন সড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে সড়কের মাটি সরিয়ে যান চলাচলসহ যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। ডিসি বাংলা উত্তর গলাচিপা এলাকায় পাহাড় কাটার ফলে রাস্তার উপরে মাটি ধসে পড়ছে । যার ফলে অভ্যন্তরীণ রাস্তাটি যোগাযাগ বন্ধ রয়েছে ।
অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে চেঙ্গী নদীর পানি । ফলে খাগড়াছড়ি শহরের খবংপুড়িয়া, মুসলিম পাড়া, গঞ্জপাড়া, রাজ্যমনি পাড়া, কালাডেবা, বটতলী, দক্ষিণ গোলাবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চেঙ্গী নদী ও মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে টানা বর্ষন অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে টানা বর্ষনে কৃত্রিম বন্যায় দেখা দিয়েছে। এতে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো: রফিকুল আলম জানান, শহরের ছয়টি এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যা দুর্গতদের জন্য পাঁচটি আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.