বান্দরবানের লামা ও চকরিয়া উপজেলার সীমান্ত শাহ্ সুজা সড়কে জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে সোমবার এক শিক্ষকসহ ৩জনকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। অপহৃতরা হলেন, মৌলানা নেজাম উদ্দিন(৩৫) কামাল হোসেন(৩২) ও আলী আহাম্মদ(২৮)। অপহৃতরা মুক্তিপণ হিসেবে ৬লাখ টাকা দাবী করেছে। পুলিশ জানায়,লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ নেজাম উদ্দিন তার অসুস্থ ভগ্নিপতি মোঃ শুক্কুরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি যাওয়ার জন্য চকরিয়া ডুলহাজারা ষ্টেশনে নামে। ডুলহাজারা ষ্টেশন থেকে একটি অটোরিক্সা যোগে যাওয়ার সময় সোমবারভোরের দিকে লামা ও চকরিয়া সীমান্তবর্তী সড়ক শাহ্ সুজা সড়কে জোড়া ব্রিজের উপরে গেলে ১৭/১৮ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গতিরোধ করে। এসময় সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের খুটাখালী বাগানে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা তাদের বেধে বেদড়ক মারধর করে তাদের কাছে থাকা মালামাল নিয়ে ৪ জনকে ছেড়ে দিলেও ৩ জনকে আটকে রাখে। পরে অপহরণকারীরা অপহৃত মোঃ কামাল হোসেনের বড় ভাই চকরিয়া ডুলহাজারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সোলেইমান এর কাছে ফোন করে ৪ লক্ষ টাকা এবং মোঃ নেজাম উদ্দিনের ভাইয়ের কাছে ২ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবী করে। মুক্তিপণ না দিলে ইউপি মেম্বার সোলেইমানের দুই ভাইকে হত্যা করবে বলে হুমকী দেয়। অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য লামা থানা ও চকরিয়া থানার পুলিশ যোথ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
অপহৃত কামাল ও আলী আহাম্মদ-এর বড় ভাই মোঃ সোলেইমান জানান,অপহরণকারীরা অতার ভাই কামালের মোবাইল থেকে মোবাইলে ৪ লক্ষ টাকর মুক্তিপণ দাবী করেছে।
লামা ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার জানান, জোড়া ব্রিজ নামক স্থানে গাড়ী গতিরোধ করে সশস্ত্র ১৭/১৮ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ অস্ত্রের মুখে তাদের ধরে নিয়ে যায়। অপহৃতদের মুক্তিপণ বাবদ ৬ লাখ টাকা দাবী করেছে।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার শেষ সীমানা পাগলি বিলের সোজা রাস্তা নামক এলাকায়। অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.