আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিতকরণে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান এবং প্রথা-রীতি অনুযায়ী আদিবাসীদের সকল ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মঙ্গলবার ঢাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত বিকাশ ধামাইয়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শাহবাগর জাতীয় যাদুঘরের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে সংগঠনের সভাপতি অনন্ত বিকাশ ধামাই-এর সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ধীরেন মাহাতো, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (গাসু) ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি সালগিরা মৃ, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুলভ চাকমা, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, কাপেং ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মানিক সরেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক টনি ম্যাথিউ চিরান।
এছাড়া সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, কাপেং ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (গাসু), মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল, বাংলাদেশ ওঁরাও ছাত্র সংগঠন, খাসি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম, সাওতাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, চান্চিয়া, হিল উইম্যানস্ ফেডারেশন, মাহাতো ছাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নসহ ১৫চি ছাত্র সংগঠন।
সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হল সংবিধান সংশোধন করে আদিবাসী জাতি সমূহের স্বীকৃতি প্রদান,আদিবাসীদের ঐতিহ্যগত ও প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান,সমতলের আদিবসাীদের জায়গা জমি পুনরুদ্ধার ও ভূমি সমস্যা সমাধানের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা।
গাসুর সভাপতি সালগিরা মৃ অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতল সবখানেই চলছে আদিবাসীদের জায়গা জমি দখল, নামে বেনামে বহিরাগতরা ভূমি জবরদখল চালিয়ে যাচ্ছে। ইকোপার্ক, ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন, সামাজিক বনায়ন বিজিবি ক্যাম্প ইত্যাদির নামে হাজার হাজার একর জমি দখল করে আদিবাসীদের তাদের চিরায়ত ভূমি থেকে উচ্ছেদ অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, অত্যান্ত উদ্বেগজনক বিষয় যে, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও এদেশের সরকার কখনো রাষ্ট্রীয় আদিবাসী দিবস উদযাপন করেনি। উল্টো আদিবাসী দিবস পালনে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে অনন্ত বিকাশ ধামাই বলেন,বাংলাদেশ কর্তৃক অনুস্বাক্ষরিত ১৯৫৭ সালের আদিবাসী ও জনজাতি সংক্রান্ত আই এল ও কনভেনশন নং ১০৭ ও ১৬৯ এবং ২০০৭ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত আদিবসাী জনগোষ্ঠীর অধিকার ঘোষণাপত্র ও মানবাধিকার সংক্রান্ত অন্যান্য আন্তর্জাতিক চুক্তি মোতাবেক আদিবসাীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ভূমি ও ভূখন্ডের উপর অধিকার ভূমি থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ থেকে রেহাই পাওয়ার অধিকার আধিবাসীদের রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.