রোববার বান্দরবানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে।
রাজবাড়ী মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনসংহতির সমিতির নেতা ও পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে.এস মং মারমা। সভাপতিত্ব করেন জনসংহতি সমিতির নেতা জলি মং মারমা। বিশেষ ছিলেন পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য রয়েল ডেভিট বম, লেখক ও আদিবাসী গভেষক ক্যসাপ্রু খোকা, ভুমি আন্দোলন কমিটির সভাপতি দেন দোহা জলাই ত্রিপুরা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াইচিং প্রু মার্মা, নারীর নেত্রী ডনাইপ্রু নেলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আদিবাসীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাজবাড়ী মাঠ থকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় রাজবাড়ী মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এতে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, ¤্রাে, খুমীসহ এগারটি আদিবাসী সম্প্রদায় ঐতিহ্যবাহী পোশাকে অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সমুন্নত করার জন্য ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও ১৮ বছর পার হয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি চুক্তি। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির বদলে আদিবাসীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নাম। এটি আদিবাসীরা মেনে নেবে না।
বক্তারা আরও বলেন আদিবাসী হিসাবে স্বীকৃতি আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সরকার আদিবাসীদের প্রতি বিমাতা সুলভ আচরনের মাধ্যমে আমাদেরকে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। আদিবাসীরা ইতিপুর্বে তাদের অধিকার আদায়ে বহু রক্ত দিয়েছে। প্রয়োজনে আরো রক্তের মাধ্যমে অধিকার আদায় করে ছাড়ব।
তিনি বলেন, বহিরাগতরা আদিবাসীদের ভুমি দখল করে জুম্মু জাতীকে তাদের ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছ্ েবহিরাগত ব্যক্তিরা জেলার বিভিন্ন স্থানে বাগান সৃজনের নামে হাজার হাজার একর ভুমি দখল করে রেখেছ্ েএ ব্যপারে বহুবার প্রশাসন এবং সরকারের নিকট আবেদন করেও আমরা প্রতিকার পাই নাই। সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.