বুধবার বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) হাট-বাজার ও দোকানপাট বর্জনের কর্মসূচি শান্তিপুর্ণভাবে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির কারণে কয়েকটি উপজেলা, ইউনিয়ন, পাড়া বা গ্রামে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাজার বর্জনের ডাক দেয়া হয়।
জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেল শাখার উদ্যোগে বুধবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হাট-বাজার ও দোকানপাট বর্জনের কর্মসূচি চলাকালে রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও সদর উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। দোকানে পাহাড়িরা বেচাকেনা করতে আসেনি। গণপরিবহনের গাড়িও চলাচল সীমিত ছিল।
এদিকে বুধবার বান্দরবান শহরের সাপ্তাহিক হাট-বাজারে পাহাড়িরা কাচা সবজি বিক্রি করতে ও ক্রয় করতে বাজারে আসেনি। শহরের মধ্যম ও উজানি পাড়ার দিকে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। তবে শহরের মূল কেন্দ্রে স্বাভাবিক নিয়মে দোকানপাট খোলা ছিল ও বেচা বিক্রি হয়েছে। গণপরিবহনের গাড়িও স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করেছে। সকাল-সন্ধ্যা বর্জন কর্মসূচি চলাকালে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবরা-খবর পাওয়া যায়নি।
জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি উচ মং মার্মা জানান, জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) ২৯ নভেম্বর চুক্তির ১৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চুক্তি বাস্তবায়ন করা না হলে পহেলা মে থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। এ ঘোষনা অনুযায়ী অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার বান্দরবান জেলায় শান্তিপুর্নভাবে হাট-বাজার বর্জন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.