বরকলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যা, দু’শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ

Published: 20 Aug 2015   Thursday   

টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়  রাঙামাটির বরকল উপজেলার নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার  দু’শতাধিক ঘরবাড়ি  ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।  এছাড়াও পানিতে তলিয়ে গেছে বাগান বাগিছা,মৎস্য পুকুর, ধান, সবজির ক্ষেত,রাস্তাঘাট, ব্রীজ,কালর্ভাট।

জানা  গেছে, টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়  রাঙামাটির বরকল উপজেলার নিম্নাঞ্চল  প্লাবিত উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।  ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মধ্যে বরকল সদর,চাইল্যাতুলি পাড়া,মরা উজ্জ্যাংছড়ি,ভূদছড়া,সুয়ারিপাতা, বাঙ্গালটিলা,কলাবুনিয়া বাজার,গোরস্তান,বামল্যান্ড,বৌ বাজার,পূর্বকদমতুলি,মাইচছড়ি,আমতলা, ছোটহরিণা, বরুণাছড়ি,ডাকভাঙ্গা,মরংছড়ি,দেওয়ানচড়। এছাড়া ভারী বর্ষনে সীমান্ত এলাকায় পাহাড় ধসসহ বাগান বাগিচা, পুকুর, রিংওয়েল,টিউবওয়েল রাস্তাঘাট,ধান ও সবজি ক্ষেত খামার সহ ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।

আইমাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামরতন চাকমা ও ভূষণছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চাকমা ও বরকল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার চাকমা জানিয়েছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।  উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুক্তা চাকমা জানান, বন্যায় তাদের তথ্য মতে রোপা আমন ৭৫ একর এবং শাকসবজি ও কলাবাগান ৫০একরের মত বন্যার পানিতে ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি তথ্যের সাথে একমত নয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ। ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্ট ভাবে বলা সম্ভব না হলেও তাদের ভাষ্যমতে অনেক বেশী।

 অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা দীপন চাকমা জানান, উপজেলায় এবারের বন্যার পানিতে ১৫টি পুকুর তলিয়ে গেছে। যার আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সমেশ আলী জানান, উপজেলার ৫ইউনিয়নে নতুন পুরাতন মিলে ৭শটির অধিক রিংওয়েল ও টিউবওয়েল রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় অধিকাংশ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পানি কমে না গেলে ঐসব রিংওয়েল টিউবওয়েল মেরামত করা সম্ভব নয়।  

 বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের জন্য সহায়তার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন বরকল উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জুরাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ লিয়াকত আলী।

 এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা জামান জানান, বন্যার পানি কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যে পানি আগের স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হবে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনদের জন্য এাণসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হবে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত