এমন একটা সময় আসবে ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রামে আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দীপংকর তালুকদার। তিান বলেন, কারন সাধারন মানুষ এখন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে তারা দলে দলে আওয়ামীলীগের পতাকাতলে সমবেত হচ্ছে।
তিনি পার্বত্য এলাকায় অবসস্থানরত আঞ্চলিক দলগুলোর সাথে বিএনপি,জামাত,সম-অধিকারসহ অন্যান্য দলের সাথে কোন মতপার্থক্য নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো এখানে শুধুমাত্র আওয়ামীলীগকে ঠেকাতেই তৎপর, কারন আওয়ামীলীগ শক্তিশালী হলে পার্বত্য এলাকায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতি দলগুলোর অস্থিত্ব একসময় বিলীন হয়ে যাবে।
শনিবার জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল মতিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ রফিকুল মাওলা,দপ্তর সম্পাদক মোঃ রফিক, জেলা ওলামালীগের সভাপতি ক্বারী মোঃ ওসমান গনি,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ শাওয়াল উদ্দিন, সদর থানা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আবু মুছা, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সদস্য রবীন্দ্রনাথ, মোঃ আব্দুস সাত্তার প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পৌর বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সাধারন সম্পাদক সুমন ত্রিপুরা।
আলোচনা সভা শেষে রাঙামাটি জেলা শ্রমিকদলের পক্ষ থেকে প্রায় ৫০জন নেতাকর্মী দীপংকর তালুকদারের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।
দীপংকর তালুকদার তার বক্তব্যে আরও বলেন, পাহাড়ে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো একমাত্র আওয়ামীলীগকেই প্রতিপক্ষ মনে করে প্রতিনিয়ত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর হুমকি প্রদর্শন করছে। তিনি বলেন, তারা (আঞ্চলিক দল) মনে করছে পার্বত্য এলাকার প্রগতিশীলতার রাজনীতির ধারাকে ধংস করতে হলে আওয়ামীলীগকেই বাধাগ্রস্থ করতে হবে। তবে তাদের এ স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আওয়ামীলীগের অগ্রযাত্রাকে কেউ কখনোই রুখতে পারবেনা। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অসাম্প্রদায়িক ধারাকে শক্তিশালী করতে হলে এখানে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সকলকে আওয়ামীলীগের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর হত্যাকারীরা ৭৫পরবর্তী সময়ে ১৫ আগষ্টকে নাজাত দিবস হিসেবে পালন করতো। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করতে ১৫ আগষ্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একই কায়দায় ২১ আগষ্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পিছনে মেজর জিয়াউর রহমান যেভাবে জড়িত ছিল ঠিক একইভাবে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সাথে বেগম খালেদা জিয়া জড়িত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যেভাবে বিচার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে ঠিক একইভাবে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের ও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থেকে আওয়ামীলীগের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.