বান্দরবান সাঙ্গু নদীতে ডুবে নিখোজ বিজিবি সদস্য জুয়েল রানার(২৫) মরদেহ দ্বিতীয় দফা জানাযা শেষে রোববার হেলিকপ্টার যোগে লাশ তার গ্রামের বাড়ি চুয়াডাংগায় পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থানছি উপজেলার বড় মদক এলাকায় গহীন অরন্যে অভিযান শেষে সাঙ্গু নদী দিয়ে নৌকাযোগে ফেরার পথে বড় পাথর এলাকায় পাথরের সাথে ধাক্ষা নৌকা উল্টে গিয়ে পানিতে ডুবে গিয়ে বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হন। নৌবাহিনীর সাত সদস্য বিশিষ্ট ডুবুরি দল প্রায় দেড় দিন তল্লাশী চালিয়ে শনিবার তার লাশ উদ্ধার করেন।
জানা গেছে, বিজিবি সদস্য জুয়েল রানার মরদেহ উদ্ধারের পর দুপুরে দিকে তাতার কর্মস্থলে থানছি বলিপাড়া ৩৩বিজিবি ব্যাটালিয়ানে নেয়া হয়। সেখানে প্রথম দফা জানাযা শেষে তার মরদেহ রোববার সকালে বান্দরবান বিজিবি’র সেক্টর সদর দপ্তরে আনার পর বান্দরবান সেনাবাহিনীর সদর জোনে তার দ্বিতীয় দফা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযাতে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহাম্মদ,বিজিবি’র সেক্টও কমান্ডার কর্নেল এস এম অলিউর রহমান,জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানসহ সেনাবাহিনী ও বিজিবি’র কর্মকর্তা ও সৈনিকরা অংশ নেন। জানাযা শেষে সেনাবাহিনী,বিজিবি,জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজিবি সদস্যের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে হেলিকপ্টার যোগে লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।
বিজিবি সদস্য মোঃ জুয়েল রানা গয়েশপুর গ্রামের জীবন নগর থানার চুয়াডাংগা জেলার মোঃ বজলুর রহমানের ছেলে। সে ২০১২ সালে এপ্রিল মাসে বিজিবিতে সিপাহী পদে যোগদান করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.