মঙ্গলবার জুরাছড়িতে পার্বত্য চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবীতে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ স্থাপনে ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিল ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয় চত্বরে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জনসংহতি সমিতির উপজেলা শাখার ভূমি ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রনজিৎ দেওয়ান। পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির উপজেলা শাখার সভানেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, জুরাছড়ি, গ্রাম মহিলা সমিতির সভানেত্রী প্রিয় লক্ষী চাকমা, যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক পলাশ চাকমা প্রমূখ। সমাবেশ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এর আগে
উপজেলা পরিষদ প্রঙ্গন থেকে কালো পতাকা মিছিল বের করে থানা, যক্ষাবাজার প্রদক্ষিন করে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয় চত্বরে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম Í চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়া ও চুক্তির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ নানা কর্মকান্ড, ষড়যন্ত্র প্রশ্রয় পাওয়ার কারণে আদিবাসী নারীদের উপর সহিংসতার মাত্রায় আরও আশস্কজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৫ জন আদিবাসী জুম্ম নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৪ জন ধর্ষনের শিকার ও ৪ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালে ৫৩ জন নারী ও শিশু, ২০১৪ সালে ৭১ জন জুম্ম নারী ও শিশু যৌন ও শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছর জানুয়ারী-আগস্ট মাসে ২৩ জন জুম্ম নারী ও শিশু যৌন ও শারীরিক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির আলোকে প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা ব্যবস্থা গড়ে না উঠা এবং দোষীদের দ্রুত ও যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়ার কারণেই পাহাড়ের জুম্ম নারীরা এখনও সহিংসতার শিকার হচ্ছে বলে বক্তাদের অভিযোগ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.