অনিল চাকমা সভাপতি ও কুনেন্টু চাকমা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

Published: 24 Sep 2015   Thursday   

রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) জেলা শাখার ৬ষ্ঠ কাউন্সিল বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে অনিল চাকমা ও কুনেন্টু চাকমা সাধারণ সম্পাদক  আসেন্টু চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা শাখা নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক রিপন আলো চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, কতুছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের হলরুমে পিসিপির কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পিসিপি জেলা শাখার সভাপতি বাবলু চাকমা। পিসিপির সাধারণ সম্পাদক অনিল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য রতন স্মৃতি চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য মন্টি চাকমা। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিপি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নিউটন চাকমা। এর আগে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল শহীদদের স্মরণে ২ মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।

কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদক অনিল চাকমা সাংগঠনিক রিপোর্ট তুলে ধরেন। রিপোর্ট তুলে ধরার পর প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন করেন। পরে সকলের করতালির মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক তার সাংগঠনিক রিপোর্ট পাশ করে নেন।

পরে কাউন্সিল অধিবেশনে উপস্থিত সকল প্রতিনিধিদের সর্বসম্মতিক্রমে অনিল চাকমাকে সভাপতি, কুনেন্টু চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও আসেন্টু চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট রাঙামাটি জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য রতন স্মৃতি চাকমা নতুন কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

কাউন্সিল অধিবেশন শেষে নতুন কমিটির নেতৃত্বে কতুকছড়ি ইউপি কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল মহাপূরম উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন। এতে নেতৃবৃন্দ আগামীতে যেকোন পরিস্থিতিতে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

কাউন্সিলের অধিবেশনে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অংগ্য মারমা বলেন, সরকার ‘‘ভাগ করো শাসন করো’’ এই নীতির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে মূলত পাকিস্তানী কায়দায় উপনিবেশিক শাসন-শোষণ চালাচ্ছে। এখানে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত চলতে থাকলে আমরা কোনভাবেই এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে পারবো না। সংঘাত চলমান থাকলে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন যেমনি হবে না, তেমনি পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের সংগ্রামকেও বেগবান করতে পারবো না। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য বিভেদ নয়, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী মন্টি চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতনসহ ভূমি বেদখল এমন এক পরিস্থিতি দিকে মোড় নিয়েছে, তাতে বসে থাকার কোন উপায় নেই। ছাত্র সমাজকেই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাবলু চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, সরকার উন্নয়নের নামে এবং নানা কায়দায় পাহাড়িদের জায়গা-জমি দখল করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ না চাইলেও সরকার জোর করে মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে। এই পদক্ষেপ থেকে না বোঝার কোন অবকাশ নেই যে সরকার কি করতে চাচ্ছে।

এছাড়া কাউন্সিল অধিবেশন থেকে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অগণতান্ত্রিক ১১ নির্দেশনা বাতিলপূর্বক অন্যায় ধরপাকড় বন্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত