রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে পিসিপির বিক্ষোভ-সমাবেশ

Published: 14 Oct 2015   Wednesday   

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেনী কার্যক্রম শুরু করার নতুন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বুধবার রাঙামাটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। 

জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি বাচ্চু চাকমা। প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা উদয়ন ত্রিপুরা। বক্তব্যে রাখন ও হিল ইউমেন্স ফেডারেশন নেত্রী সুইনু চিং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির সভাপতি টোয়েন চাকমা, পিসিপির নেতা অধিরাম চাকমা।

এর আগে একটি বিক্ষোভ-মিছিল কালিন্দীপুরের জনসংহতি সমিতির কার্যালয় চত্বর থেকে একটি শুরু হয়ে বনরুপা চত্বর ঘুরে গিয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা পার্বত্য জনগনের প্রবল বিরোধীতাকে অপেক্ষা করে সরকার যদি পেশা শক্তি দিয়ে জোর করে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েরশ্রেনী কার্যক্রম তাহলে তার পরিণতি শুভ হবে না। এ জন্য কোন অনাকাংখিত পরিস্থিরি জন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

 বক্তারা আরও বলেন, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্থগিতের জন্য বার বার দাবীর সত্বেও যদি কথিত উপাচার্য্য ড. প্রদানেন্দু চাকমা নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেনী কার্যক্রম শুরু করেন তাহলে তাকে রাঙামাটিতে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হবে।

বক্তারা পার্বত্য চুক্তি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্ষন্ত রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করার দাবী জানান।

সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য শ্রী উদয়ন ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম জনগনের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার বল প্রয়োগের মাধ্যমে মনগড়া করে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নামে অছাত্রদের দিয়ে সরকারের দলীয় লোক দিয়ে এবং সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সহযোগিতায় ক্লাস শুরু দাবিতে গত ১১ অক্টোবর মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে। এমন সাম্প্রদায়িক এবং উস্কানিমূলক কার্যক্রম করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি আবারও অশান্ত হয়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, জনমতের বিপরীতে গত ১০ জানুয়ারী রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন করতে গিয়ে রাঙামাটিতে মারাত্বক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে জনমত উপেক্ষা করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দিবানিশি প্রহরায় জোর করে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যা সার্বিক পরিস্থিতিকে ক্রমাগত অশান্ত করে তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে শাসকগোষ্ঠীর কায়েমী স্বার্থবাদী মহল ছাত্র নামধারী কতিপয় বহিরাগতদের দিয়ে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেনী কার্যক্রম শুরু করার নতুন ষড়যন্ত্রের মেঠে উঠেছে।

তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথিত উপাচার্য প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা অক্টোবর মাসের শেষে অথবা নভেম্বরের শুরুর দিকে রাঙামাটিস্থ রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেনী কার্যক্রম শুরু করা কথা বলেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। সরকার যদি এ অবস্থায় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করে তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে পার্বত্যবাসীদের সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি  দিতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। 
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত