রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সংবর্ধনা দিল বরকলবাসী

Published: 17 Oct 2015   Saturday   

শনিবার বরকলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

বরকল উপজেলাবাসীর আয়োজনে শুবলং বাজারে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। গণসংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও ১নং সুবলং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সুশান্ত ময় চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, পরিষদের সদস্য সাধন মনি চাকমা, সবির কুমার চাকমা, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা প্রমুখ। বক্তব্যে দেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ চাকমা, বণ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেনং রাখাইন, বরকল যুবলীগ নেতা অর্জুন চন্দ্র অধিকারী, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অমল চাকমা। স্বাগত বক্তব্য দেন গণসংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব ও সুবলং বাজার কমিটির সভাপতি সুজন কুমার শীল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বরকল উপজেলাবাসীর পক্ষে থেকে দীপংকর তালুকদার, জেলা পরিষদ চেযারম্যান বৃষকেতৃ চাকমাসহ পরিষদের সদস্যদের সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন সংবর্ধনা কমিটি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন,পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন বিভাগকে ধংস করার লক্ষ্যে পর্যটকদের অপহরন করছে একটি বিশেষ মহল। এর ফলে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি করার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাজানোই তাদের উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি পার্বত্য বান্দরবান জেলায় পর্যটক অপহরনের ফলে তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক আগমন অনেকাংশে কমে গেছে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা করে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে এই মহলটি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন জাত নেই ধর্ম নেই। বর্ন ধর্ম ভেদাভেদ ভুলে আমাদের সকলের এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ন্যয় তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পার্বত্য বাসির প্রতি আন্তরিক। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর অস্ত্রের ঝনঝনানি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি অপহরন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন তিনি পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতির কল্যাণে ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি করেছেন এবং তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নও করছেন। তিনি এ জেলার প্রতিটি ধর্মের মানুষের কল্যানে মসজিদ. মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, গীর্জা নির্মান করে দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি যোগাযোগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেই যাচ্ছে। এর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এই উপজেলার ধনমিয়া ফকিরের মাজারে যাতায়াতের জন্য একটি ব্রীজ, মিতিঙ্গা ছড়িতে ২৫লক্ষ টাকা ব্যয়ে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ, হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির এবং মসজিদ সংস্কার করে দিয়েছে। যা অন্য কোন সরকার করে দেইনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় দেশের মানুষের কল্যান চাই বলে আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকি এবং তা পূরণ করতে পারি।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, সকল সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে ১৫সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদ পূর্নগঠন করা হয়েছে পার্বত্য বাসীর কল্যানের কথা ভেবেই। তিনি বলেন, জেলার শিক্ষার উন্নয়নে আগামীতে যে সমস্ত বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ নেই সে সমস্ত বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে সোলার প্যানেল বিতরণ করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত