বান্দরবানের লামায় মাইক্যচিং মার্মা(২৮) নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে জবাই করে হত্যা করেছে স্বামী থোয়াইশৈমং মার্মা(৩৪)। শুক্রবার রাত ৯টায় পৌরসভার স`মিল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ঘাতক স্বামী কারিতাস সিঁড়ি প্রকল্পের মাঠকর্মী থোয়াই শৈমং মার্মা পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
জানা যায়, গত তিন মাস পূর্বে লামা পৌরসভার বড় নুনারবিল মার্মা পাড়ার উক্যাজাই মার্মার মেয়ে মাইক্যচিং মার্মার সাথে বান্দরবানের মেঘলার অধিবাসী কারিতাস সিঁড়ি প্রকল্পের কর্মী থোয়াই শৈমং মার্মার বিয়ে হয়। মাইক্যচিং মার্মা রুপসী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। উভয়ে পৌরসভার স’মিল পাড়ায় একটি তিন তলা বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
বাসার আশেপাশের লোকজন জানান,শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সমিল পাড়ায় ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার আওয়াজ গেছে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্কুল শিক্ষিকা মাইক্যচিং মার্মার আত্মচিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেয়ে বাড়ীর আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এতে ঘাতক স্বামী থোয়াই শৈমং রক্তমাখা দা নিয়ে লোকজনকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে। স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় জনতার সহায়তায় ঘাতক স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে সে পুলিশের কাছে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। তবে কি কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.