কর্মসংস্থানের আরও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিশ্লেষন ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে বুধবার বান্দরবানে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেছেন, সঠিক পদক্ষেপ ও পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার যুবশক্তিকে জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগানো সম্ভব। কৃষি, গবাদি পশু পালন, মৎস্য চাষসহ পর্যটন শিল্পে পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার যুব শক্তি বিভিন্ন রকম সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হচ্ছে। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পার্বত্য এলাকাকে বেকারত্ব মুক্ত এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা তৈমু’র লিডারশিপ ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম (এলডিপি)’র উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ শহিদ উল্লাহ। তৈমু’র লিডারশিপ ডেভেলাপমেন্ট প্রোগ্রাম এর কো-অর্ডিনেটর মিন্টু মারমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াপতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শম্ভু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। সভায় বান্দরবান সদর, সুয়ালক, কুহালং, রাজবিলা ও নোয়াপতং ইউনিয়নের যুব লিডার, কমিউনিটি লিডার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও তরুণ উদ্যোক্তারা অংশ নেন। সভা সঞ্চালনা করেন এলডিপি’র প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা।
অনুষ্ঠানে সুয়ালক এলাকার রহিমা আক্তার কেয়া ও তালুকদার পাড়ার যুব উদ্যোক্তা উচিংনু মারমাকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মতবিনিময় সভায় বলা হয়, উল্লেখ্য, দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুব। এর মধ্যে শতকরা ৮৫ শতাংশ যুব জনগোষ্ঠী মনে করেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বিশেষতঃ পার্বত্য এলাকার যুব পুরুষ ও যুব মহিলারা বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে বর্তমানে আত্মকর্মসংস্থানমূলক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.