টাইমস্কেল গ্রেড বাতিল, উপজেলা পর্যায়ে হস্তান্তরিত বিভাগসমূহের বেতন ও অন্যান্য বিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যানের স্বাক্ষর এবং চাকরী সংক্রান্ত বৈষম্যর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি,নন নন-ক্যাডার, ফাংশনাল সার্ভিসেস`র জেলা ও সদর উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারন অধদিপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি,নন নন-ক্যাডার, ফাংশনাল সার্ভিসেস জেলা শাখার সভাপতি ও রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারন অধদিপ্তরের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন,প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি,নন নন-ক্যাডার, ফাংশনাল সার্ভিসেস জেলা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক এবং রাঙামাটি সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ফরেদৌস কবির,সংগঠনের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য র্কমর্কতা মুহাম্মদ মনরিুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগীয় বন র্কমর্কতা মোঃ সালা উদ্দীন আহমেদ,,রাঙামাটি সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ত্রিবিজয় চাকমা, জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের এডিডি তপন কুমার পাল ও উপজেলা যুব উন্নয়ন র্কমর্কতা মোঃ নুরুল আবসার প্রমুখ। এছাড়া রাঙামাটি জেলার ও সদর উপজেলার সরকারী বিভিন্ন বিভাগের কমর্কতারা সভায় অংশ নেন।
সভায় বক্তারা ৬ দফা দাবী দাবী জানান। সেগুলো হল কৃত্য পশোভত্তিকি জনপ্রশাসন গড়ে তোলা, সিলেকশন গ্রেডে ও টাইস্কেলে পুর্নবহাল,আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন,সকল ক্যাডার, নন-ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসেস-এ পদোন্নতির সমান সুযোগ,উপজলো পরিষদে ন্যস্ত বিভাগসমূহের বাতিল ও অন্যান্য বিলে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার স্বাক্ষর বাতিল এবং উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সকল বিভাগের সর্বোচ্চ বিভাগের র্কমর্কতাদের সমান পদমর্যাদা দেয়া।
সভায় বক্তারা বলেন, উপনেবিশক শাসন ব্যবস্থায় দখলীয় রাস্ট্রে শাসন ও শোষন চালিয়ে নেয়ার জন্য আমলাতান্ত্রকি ব্যবস্থা অপরিহার্য হলেও স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিত শাসন ব্যবস্থায় দেশের উন্নয়নের স্বার্থে পেশাজীবিদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ধারা বাধাগ্রস্থ করতে একটি বিশেষ মহল পেশাজীবিদেরকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করছে। বক্তারা পেশাজীবিদের উপর চলমান বিভিন্ন বৈষম্য তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং ৬ দফা দাবীর বিষয়টি সহানুভূতির সাথে দেখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানা।
বক্তারা পে-কমিশন বাস্তবায়ন হলে প্রায় সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তাই সকলে একতাবদ্ধ হয়ে টাইস্কেল/সিলেকশন গ্রেড বহালসহ ৬ দফা দাবী আদায়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বক্তারা ৬ দফা আদায় না হওয়া পর্ষন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা অনুসারে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেন। পাশাপাশি র্কমসূচী চলমান রাখার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন বক্তারা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.