খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার মুনিপুর বনবিহারে সোমবার ১৭ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান উদযাপিত হয়েছে।
মুনিপুর বনবিহার প্রাঙ্গনে ধর্মীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিহারের অধ্যক্ষ বৈশিষ্ট মহাস্থবির।
স্ব-ধর্ম দেশনা দেন খাগড়াছড়িরর ভাইবোনছড়ার মধ্যম প্রতিপদা অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ ব্রক্ষদত্ত স্থবির, পানছড়ি পূজগাং অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ অনুমোদর্শী স্থবির, পানছড়ি শীলাচার অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ জ্ঞানদর্শী স্থবির প্রমূখ। ধর্মীয় সভা পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন শান্তিরাম চাকমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক ইন্দ্র লাল চাকমা। অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল গ্রহণ পূর্বক বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, তৈরীকৃত চীবরটিসহ বিভিন্ন প্রকার দানীয় বস্তু দান করা হয় ভিক্ষু-সংঘের উদ্দেশ্য।
ধর্মীয় সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুকরা বলেন- বৌদ্ধ ধর্ম মৈত্রী ধর্ম, শান্তির ধর্ম। বৌদ্ধ ধর্মে কোনো প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ, মারামারি-হানাহানি নেই। বৌদ্ধ ধর্মে প্রথিবীর সকল প্রাণির হিতঃসূখ মঙ্গল কামনা করা হয়ে থাকে। করি। গৃহীদের জন্য রয়েছে পঞ্চনীতি। এ পঞ্চনীতি পালন করলে পারিবারিক, সামাজিক জীবনে কোনো ধরনের মারামারি-হানাহানি আসবে না। পঞ্চনীতি পালন করলে সুখ ও শান্তি আসবে। এলাকার উন্নয়ন হবে। সেজন্য সবাইকে পঞ্চনীতি পালন করতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.