লামায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাইক্যচিং মার্মাকে ১২ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবী করেছেন।
এদিকে, আদালতের অনুমতি নিয়ে শীঘ্রই ঘাতক থোয়াইশৈমং মার্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক অভিজিৎ।
নিহতের ভাই সুইনুমং মার্মা জানান,যৌতুকের জন্য প্রায় সময় মাইক্যচিং মার্মাকে ফরেষ্ট্রিতে ডিপ্লোমা স্বামী থোয়াইশৈমং মার্মা নির্যাতন করত। কারিতাস সিঁড়ি প্রকল্পে কর্মরত থোয়াইশৈচিং মার্মা সরকারী চাকুরীর জন্য ১২লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে স্ত্রীর কাছে দাবী করে আসছিল। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ প্রচন্ড রুপ নেয়। মাইক্যচিং মার্মা ১৯ সেপ্টেম্বর লামা কাল্ব থেকে ১লক্ষ ১০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তার স্বামীকে দিয়েছেন। তিনি আরও জানান,ঘটনার দিন গত ৩০ অক্টোবর শুক্রবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয়। একই ফ্লাটের পাশের ভাড়াটিয়া স্কুল শিক্ষিকার ভাইকে মোবাইল ফোনে ঝগড়ার বিষয়টি জানালে তারা তড়িৎ ফ্লাটে উপস্থিত হয়ে দেখেন দরজা বন্ধ কক্ষে ঘাতক স্বামী মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত কারো সাথে কথা বলছে। উপস্থিত আত্মীয় স্বজন দরজা খোলার জন্য অনেক অনুনয় বিনয় করলেও সে দরজা খোলেনি। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দরজা খুলে।
নিহতের চাচাত ভাই মংছিংপ্রু মার্মার জানান,সুরতাল রির্পোটের বর্ণনা অনুযায়ী মাইক্যচিং মার্মাকে হত্যার আগে বা পরে বৈদ্যুতিক সট দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। ঘাতক ঠান্ডা মাথায় মাইক্যচিংকে খুন করে মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য ৩০ অক্টোবর রুপসীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাইক্যচিং মার্মাকে জবাই করে হত্যা করে। নিহতের ভাই সুইনুমং মার্মা লামা থানায় বাদী হয়ে ঘাতক স্বামী থোয়াইশৈমং মার্মাকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.