বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম(ডিওয়াইএফ)সহ আট গণসংগঠনের কনভেনিং কমিটির নেতৃবৃন্দ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার আট সংগঠনের কনভেনিং কমিটির সদস্য সচিব অংগ্য মারমার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রেস বার্তায় উল্লেখ করা হয়, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম(ডিওয়াইএফ),পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, সাজেক নারী সমাজ, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র জনগণের ওপর সশস্ত্র হামলা, বুদ্ধিজীবীসহ নির্বিচারে গণহত্যা ও ধর্ষণ সংঘটিত করার দায়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র নিজেই বাংলাদেশের জনগণের নিকট অপরাধী হয়ে রয়েছে, তার দায় স্বীকার ও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা না করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় মতামত দেয়ার নৈতিক অধিকার পাকিস্তানের থাকতে পারে না।”
বিবৃতিতে ৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তান ও পরিবার পরিজন, নির্যাতিত নারী তথা ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে সংহতি ও একাত্মতা জানিয়ে আট সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন“স্বজন হারানো দুঃখ মর্মবেদনা কত গভীর, তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বুঝতে পারে।”
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ নিজেরা ভুক্তভোগী দাবী করে আরও বলেন, ‘বাঙালি জনগণের জীবনে’৭১-এর দুঃসহ কালো রাত্রি অতিক্রান্ত হয়েছে চার দশকের বেশী সময় হলো। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে দুঃখের রজনী এখনও শেষ হয়নি।
যুক্ত বিবৃতিতে যথক্রমে স্বাক্ষর করেন ডিওয়াইএফ-এর সভাপতি মাইকেল চাকমা ও সাধরণ সম্পাদক অংগ্য মারমা, পিসিপি’র সভাপতি সিমন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর সভাপতি নিরূপা চাকমা, পা.চ. নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, সাজেক নারী সমাজের সভানেত্রী নিরূপা চাকমা, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভানেত্রী কাজলী ত্রিপুরা, প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সভাপতি আনন্দ প্রকাশ চাকমা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.