প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.গওহর রিজভী বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছিলেন, তিনিই এ চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে অনেকদুর এগিয়ে গেছে। চুক্তির বাকী ধারা সমূহ সরকার দ্রুত বাস্তবায়ন করে যাবে। চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সরকারকে সহযোগিতা দিতে সন্তু লারমার প্রতি তিনি আহবান জানান।
বুধবার জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে রাঙামাটি পৌর চত্বরে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চুক্তি ১৮তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনসুর আলী, কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা আওয়মাীলীগ সভাপতি অংসুছাইন চৌধুরী, জেলা যুবলীগ সভাপতি ও রাঙামাটি পৌর মেয়র পদপ্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী। সভায় আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
ড.গওহর রিজভী আরও বলেন,আমাদের মনে রাখতে হবে সন্তু লারমা একজন দেশপ্রেমিক-গণতন্ত্রের বিশ্বাসী এবং বাংলাদেশের স্বাধনীতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী হয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
সন্তু বাবু আমাদেরকে ছাড়া এ চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। ঠিক তেমনি আমাদেরকেও দরকার তাকে সাথে নিয়ে কাজ করার। প্রধানমন্ত্রী এ চুক্তি করেছেন তিনি বার বার আমাদেরকে বলেছেন তিনি পুরোপুরি এ চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন। এতে কারোর মনে কোন সন্দেহ থাকার কারণ নেই।
তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই সংসদে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সংশোধনী বিল তোলা হবে। এ বিলে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর স্বার্থ সংরক্ষন করা হয়েছে। এতে চিন্তা করার কোন কারন নেই এবং কারোর কোন ক্ষতি হবে না।
সরকার একজনকে রেখে আরেক জনের জন্য কাজ করতে পারে না। সরকার সকল সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন করতে হলে পার্বত্যাঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্রের কারণে পাহাড়ের সাধারণ পাহাড়ী বাঙ্গালী সকলে উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে বসবাস করছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রধান অন্তরায় হচ্ছে পাহাড়ের উন্নয়ন। কিন্তু পাহাড়ের অব্যাহত চাঁদাবাজী ও অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির কারণে পাহাড়ে উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা কখনই সম্ভব নয় ।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.