জাতীয় মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মিজানুর রহমান পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবীতে ১ জানুয়ারী থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষনার আগে সন্তু লারমার কাছে থেকে তিন মাস সময় চেয়ে বলেছেন, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে পার্বত্য চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সে লক্ষে সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ আমরা গ্রহন করবো।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকলে একটা সমাধানে পৌছাতে পারবো। তখন হয়তো এসব কর্মসূচি আর প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে মানবধিকার সুরক্ষায় জাতীয় মানবধিকার কমিশনের ভুমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান। বক্তব্যে রাখেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোঃ মজিদ আলী, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সদস্য নিরুপা দেওয়ান, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী নেতা সন্তোষিত চাকমা বকুল প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জেলার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চুক্তি ১৮ তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে রাঙামাটিতে আয়োজিত মহাসমাবেশে সন্তু লারমা চুক্তির পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবী জানুয়ারী থেকে হরতাল, অবরোধ, অফিস ও আদালতসহ ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষনা দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.