একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নে বাঁধাগ্রস্থ করছে-দীপংকর তালুকদার

Published: 17 Dec 2015   Thursday   

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার লংগদুতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভায় করা হয় ।

 

প্রধান অথিতি বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি গোষ্ঠী জাত-পাতের কথা বলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের সকল উন্নয়নে বাঁধাগ্রস্থ করার পায়তারা করছে।  পাহাড়ে পূর্বের ন্যয় রক্তের হলিখেলায় আবারো মেতে উঠতে চায় এই গোষ্ঠী।

 

তিনি এ অঞ্চলে বসবাসরত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষন্ন রাখতে সকল সম্প্রদায়কে এই গোষ্ঠীটির বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

 

লংগদু উপজেলার রাজনগন জোন ও গুলশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লংগদু উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা পলাশ কান্তি চাকমা।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন লংগদু রাজনগর জোনের জোন কমান্ডার লেফটেনেন্ট কর্ণেল মোঃ তারেক বেনজির, লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক  হাজী কামাল উদ্দিন, লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জানে আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের ডেপুটি কমান্ডার খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাজী ফয়জুল আজিম।

 

স্বাগত বক্তব্য দেন লংগদু উপজেলার ৩নং গুলশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহিম।  অনুষ্ঠাশেষে  লংগদু উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের  পুরস্কার ও ৫৩জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

 

পরে চাইল্যাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত বিএনপি’র শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান  অনুষ্ঠানেএবং ভাসান্যা আদম ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান করে দীপংকর তালুকদার। এসময় তিনি বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ।

 

সাবেক  প্রতিমন্ত্রী  আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় পতাকা ছিনিয়ে আনতে জাত-পাত ভুলে যেমন সকল সম্প্রদায়ের লোক ঝাঁপিয়ে পরেছিল ঠিক তেমনি  এ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করতে হবে।

 

তিনি বলেন, ৭১’র দেশের মানুষের সংখ্যা সাড়ে সাত কোটি থাকার পরও  অভাব ছিল দূর্ভিক্ষ। বর্তমানে ১৬ কোটি মানুষ হওয়ার পরও দেশ আজ খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ন। দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরন করে বাইরের দেশেও খাদ্য রপ্তানি করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, যোগাযোগ, অর্থনীতি উন্নয়নসহ দেশের সামগ্রীক উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে আজ দেশ। আর এসব সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে।

 

তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তখন বিশ্ব ব্যাংকসহ অন্যান্য দাতা সংস্থা ঋণ না দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু দেশের মানুষের কথা চিন্তা  করে তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন এদেশের টাকা দিয়েই এই সেতু নির্মান করা হবে। তাঁর দেওয়া ঘোষনা অনুযায়ী আজ প্রায় ৩০ভাগ কাজ সম্পন্ন এবং আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে।

 

জননেত্রীর রুপকল্প ২০২১ সালে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করার যে অঙ্গিকার তা বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার তিনি আহ্বান জানান। 

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত