সর্বজনপুজ্য শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের সাধনায় সিদ্ধিলাভের স্থান হিসেবে পরিচিত দীঘিনালা বন বিহারে শুক্রবার যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যপুর্ণভাবে পালিত হয়েছে বনভান্তের ৯৭তম জন্ম বার্ষিকী।
সকালে বনভান্তের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জন্ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় বনভান্তের প্রতিকৃতির স্থানটি দায়ক-দায়িকা ও ভক্তদের দেয়া পুষ্পমাল্য আর রঙ-বেরঙের ফুলে ফুলে ভরে হয়ে ওঠে।
বনভান্তের অন্যতম শিষ্য ও দীঘিনালা বন বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির প্রথমে বনভান্তের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে একে একে ভিক্ষুসংঘ, দিঘীনালা ইউনিয়ন পরিষদ, দীঘিনালা বন বিহার পরিচালনা কমিটি, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, উন্নয়ন কর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ বনভান্তের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর জন্ম দিনে বনভান্তের পক্ষে কেক কাটেন শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির। এসময় সাধু সাধু ধ্বনিতে দিঘীনালা বন বিহারের চারিদিক মুখরিত হয়ে ওঠে। বহুদুর থেকে শোনা যায় বুদ্ধ ধর্ম সংঘ ও বনভান্তের জয় ধ্বনি ।
এদিকে, সকাল নয়টায় পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধমুর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দানসহ বিভিন্ন দানীয় সামগ্রী দান করা হয়। অনুষ্ঠানে সদ্ধর্ম দেশনা দেন বনভান্তের প্রধান শিষ্য শ্রীমৎ নন্দপাল মহাস্থবির।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা, কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দীঘিনালা বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশ্ব কল্যাণ চাকমাসহ শিক্ষক, উন্নয়ন কর্মী, ব্যবসায়ী ও অগণিত ভক্তবৃন্দ জন্ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে বনভান্তের স্মরণে আনাপান স্মৃতি ভাবনা করা হয়।
সদ্ধর্ম দেশনায় তিনি বলেন, বনভান্তে পরিনির্বাপিত হলেও তিনি আমাদের পাশে আছেন। তাঁর ধ্যান-সাধনা, জ্ঞানমুলক শিক্ষা, তাঁর কর্মময় জীবনের সবকিছুই আমাদেরকে সবসময় অনুপ্রেরণা দেয়। তাঁর ধর্মবাণী, উপদেশ, সদ্ধর্ম দেশনা সবকিছু আমাদের সাথে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাঁর প্রদর্শিত পথে আমাদের চলতে হবে। বনভান্তের মত মহাপুরুষ আমাদের জাতিতে আরো উৎপন্ন হওয়া প্রয়োজন এবং আমি এই প্রার্থনা করি। তিনি বনভান্তের কারণে পার্বত্য এলাকার মানুষ সত্যধর্ম সম্পর্কে সম্যক ধ্যান-ধারণা পেয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.