লামা পৌর শহরে অনুমোদন ও অপরিকল্পিত বহুতল ভবন নির্মাণ বেড়েই চলেছে!

Published: 29 Jan 2016   Friday   

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকা হওয়ায় পাহাড় কাটা ও চার তলা অধিক ইমারত নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও লামা পৌরসভায় অনুমতি ছাড়া নির্মিত হয়েছে অর্ধ শতাধিক বহুতর ভবন।

 

অভিযোগ রয়েছে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ এর কোন নিয়ম নীতি ও আইনের তোয়াক্কা না করে তৈরি এসব ভবনগুলোকে অনুমোদন দিচ্ছে লামা পৌরসভা। সাধারণ মানের কোন ভুমিকম্প হলে ভবনগুলো হেলে বা ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

 

সরকারী সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকা ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকা হওয়ায় পাহাড় কাটা ও চার তলা অধিক ইমারত নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে সরকারের। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা মতে নির্মাণ ভবনের চারপাশে অনুপাত হারে খালি জায়গা, ইমারত সাইট সংলগ্ন ৩.৬৫ মিটার প্রশস্ত রাস্তা, বৈদ্যুতিক লাইন থেকে নিরাপদ দূরত্বে, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা, জরুরী নির্গমন পথ, সিঁড়ির লবি, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, বজ্রপাত নিরোধকের ব্যবস্থা, পয়ঃনিস্কাসন ব্যবস্থা, একাধিক তলাবিশিষ্ট ইমারতের ক্ষেত্রে ১.৭৫ মিটার প্রশস্ত নির্গমন পথ, ইমারতের সামনে ৫মিটার, পাশাপাশি ২.৫ মিটার স্থান উম্মুক্ত, বাণিজ্যিক ভবনের ক্ষেত্রে গুদাম নির্মাণ নিয়ম রয়েছে।

 

যার কোনটি মানছে না লামা পৌরসভার আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের মালিকরা। মনগড়া নকসা দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভবন গুলো। অপরদিকে ১ বা ২ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে তৈরি করছে ৪বা ততোধিক তলা বিল্ডিং। আবার তার উপরে তৈরি করছে মোবাইল কোম্পানীর বড় বড় টাওয়ার। দখল করা হচ্ছে রাস্তা, সরকারী খাস জায়গা ও পুকুর।


সরজেমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, লামা বাজারের ১৫থেকে ২০টি বাণিজ্যিক মার্কেটের একটিতেও নেই গাড়ি পাকিং, পয়ঃনিস্কাসন ব্যবস্থা। যার দরুণ কেনাকাটা করতে আসা নারী, পুরুষ ও শিশুরা গাড়ি পাকিং এবং প্রস্রাব ও মল ত্যাগ করা নিয়ে বেকায়দায় পড়েন। লামা শহরের অনেক সুউচ্চ ভবনের মালিকদের কাছে বিধিমালা অমান্য করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন বক্তব্যে না দিয়ে এড়িয়ে যান।


লামা ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন অফিসার পুলক কান্তি সরকার বলেন, যে কোন শহরে ভবন নির্মান করতে হলে ভবন মালিককে ফায়ার সার্ভিস হেড কোয়ার্টারে আবেদন করতে হয়। তখন হেড কোয়ার্টার সেই ভবন নির্মানে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ঠিক রাখছে কিনা সেটা যাচাইয়ের জন্য দায়িত্ব দেয় সেই জেলা/শহরের ফায়ার সাভির্সকে।

 

তখন সংশ্লিষ্ট ফায়ার সার্ভিস সব যাচাই বাচাই করার পর সঠিক মনে করলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মাণে অনুমোদন দেয়। কিন্তু লামায় বহুতল ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে এ আইন ভঙ্গ করেই চলেছে।


লামা শহরে বহুতল ভবন ও অনুমোদনহীন ভবনের সংখ্যা কত এব্যাপারে জানতে চাইলে লামা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী এম. মুকবুল হোসেন বলেন, এ ব্যপারে তার কোন সঠিক হিসাব নেই তার কাছে।


লামা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আলী আহামদ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভবনের মালিকরা আমাদের কাছ থেকে নকশা অনুমোদন করেন। কিন্তু বাস্তবে তারা নকশা অনুসরণ না করে ভবন গুলো নির্মাণ করে থাকেন। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত