বৃহস্পতিবার বান্দরবান রুমা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্দকারীরা। এতে অফিস সহায়কসহ দুইজন আহত হয়েছে ও অফিসের একটি গাড়ীর কাচ ভেঙ্গে গেছে। আহতদের রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রুমা উপজেলা নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের তত্ত্ববাধানে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ঠ বগালেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ইউএনও’র নির্দেশে বগালেকের আশপাশে স্থানীয়দের গড়ে তোলা পাঁচটি কটেজ ভেঙ্গে ফেলা হয়। এতে ক্ষুব্দ হয়ে উঠে স্থানীয় বগালেকবাসিরা। সূত্র মতে,বগালেকের স্থানীয় টিম বমের তিনটি কটেজ, ইয়াং বম এসোসিয়েশনের একটি ও লালরাম বমের একটি কটেজ ভেঙ্গে ফেলা হয়। এলাকাবাসিদের দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অন্যায়ভাবে কোনো ধরণের নোটিশ ছাড়াই তাদের কটেজ ভেঙ্গে দিয়েছেন। তারা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ঠ বগালেকের আশপাশে ঘর নির্মাণ করে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। বাঁচার তাগিদে আয় উপার্জনের জন্য তারা কটেজ নির্মাণ করেছেন গত ২০ বছর আগে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে কটেজ ভেঙ্গে দেওয়াতে ক্ষুব্দ হয়ে রুমা বগালেকবাসি ও সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে ইউএনও প্রত্যাহারের দাাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় মিছিলকারীরা ইউএনও অফিস ঘেরাও করে রাখে। এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা ক্ষুব্দ হয়ে ইট-পাটকেল ছোড়ে ও অফিসে ভাংচুর চালায়। মিছিলকারীদের হামলায় ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক তপন কান্তি দাশ ও স্থানীয় এলভিস বম আহত হন। আহতদের রুমাা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইয়াং বম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ভানরাম সিয়াম বম জানান, মঙ্গলবার কটেজ ভাঙ্গার আগে তাদেরকে কোনো ধরণের নোটিশ দেওয়া হয়নি। তাছাড়া ভেঙ্গে ফেলার মতো কোনো কারণও নেই। তারা ওই জায়গাতে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। বগালেকটি সুরক্ষার দায়িত্ব স্থানীয়রা যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে। অন্যায়ভাবে কটেজ ভেঙ্গে দেওয়াতে স্থানীয় বিক্ষুব্দ জনতা ইউএনও অফিস ঘেরাও ও প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষুভ মিছিল করে। মিছিলে বাধা দেওয়া হয়।
রুমা থানা ওসি মো: শরিফুল ইসলাম জানান, বগালেকের মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ক্ষুব্দ হয়ে বৃহস্পতিবার ইউএনও অফিসে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় অফিস সহায়কসহ দুইজন আহত হয়েছে, একটি গাড়ী ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্দকারীরা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ চাহেল দস্তরী বলেন, বগালেকের পাড়ে বেশ কয়েকটি টয়লেট রয়েছে। পাড়ের আশপাশে কটেজও নির্মাণ করা হয়েছে। বগালেকের পাড় থেকে টয়লেট ও কটেজ সরিয়ে ফেলার জন্য কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা তা আমলে নেয়নি। যার কারণে বগালেকের সুরক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.