লামা উপজেলার গজালিয়া বাজারে সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগ ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের(পিসিপি) মধ্যে সংঘর্ষে ৪৫ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরকে দায়ি করেছেন। গুরুতর আহত মংসুই নু মার্মা (২২), রুংজহ ত্রিপুরা (৪৫), গর্ডেন ত্রিপুরা (২৫), মনুচিং মার্মা (৩২) ও জ্যোতি ত্রিপুরা (২০) কে লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জনসংহতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক উম্রাথোয়াই মার্মা অভিযোগ করে দাবী করেছেন, গজালিয়া ৪,৫ও৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত মহিলা মেম্বার সইতটি ত্রিপুরাসহ গজালিয়া ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে অভিনন্দন জানানোর জন্য গজালিয়ায় যায়। এসময় ছাত্রলীগের থোয়াইহ্লা অং মার্মা, চিংহাই মং মার্মা ও উপ্রুথোয়াই মার্মা, ক্যামে মার্মা, উসাইমং মার্মা, মংবাচিং মার্মা, ক্যএথোয়াই মার্মা, অংসেমং মার্মা, উক্যচিং মার্মা, মংচিং মার্মা, থোইনসচিংমার্মা, মংথোয়াই এ মার্মা, নাইঅংগ্য মার্মা, উবাচিং মার্মা, চিংথোয়াইমে মার্মা ও উথোয়াই মার্মা নেতৃত্বে ছাত্রলীদের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এতে দেড় বছরের শিশু ওয়াংচিং, গৃহীনি থুইনু চিং (৩৬)সহ কমপক্ষে ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
তবে ছাত্রলীগের গজালিয়া ইউনিয়ন সভাপতি চিংহাই মং মার্মা (২৩) দাবী করেছেন, গেল ২৩ এপ্রিল গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পিসিপি’র কিছু কর্মী ৬ নং ওয়ার্ডের রেমং মেম্বার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলার চেষ্টা করে। নির্বাচনের দিন হামলার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সোমবার দুপুরে গজালিয়া বাজারে এসে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ক্যসুই মার্মা (২২), মনুচিং মার্মা (৩২), জ্যোতি ত্রিপুরা (২০), উম্রাথোয়াই ও খ্রীংমংঞায়াই মার্মা (২২) এর নেতৃত্বে পাহাড়ী ছাত্রপরিষদের একদল কর্মী প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলা চালায়।
এদিকে, সংঘর্ষের খরব পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃদু লাঠিচার্জ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গজালিয়ায় সেনা বাহিনীসহ আইন শৃংখলা বহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার পর পর লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভা মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী আহতদের দেখতে লামা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াই চিং মার্মা অভিযোগ করে জানান,জনসংহতি সমিতি ও পিসিপি গজালিয়ায় অধিবাসীদেরকে জিম্মি করে ব্যাপকভাবে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। তাদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রানী কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করা না হলে গজালিয়ায় অশান্তি বাড়বে। জরুরী ভিত্তিতে গজালিয়া ইউনিয়নের তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ তিনি দাবী জানান।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.