লামায় জামাতার কু-দৃষ্টির শিকার শাশুড়ি!

Published: 20 May 2016   Friday   

প্রতিদিনের মতো মা’য়ের সমতুল্য শাশুড়ী মা ঘরের স্বাভাবিক নিয়মের সকল কাজকর্ম শেষে রাত ৯ টার সময় ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমের আড়াই ঘন্টা পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম(৪৫)একা ঘর থেকে বের হলে কেউ একজন তাকে হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরে মুখ চেপে ধরে। জড়িয়ে ধরার পর ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মনোয়ারা দেখতে পায় খোদ বড় মেয়ের জামাই আব্দুল হক(৩৫) অন্ধকারের পিছন থেকে আমায় জড়িয়ে ধরে ও শীলতাহানির চেষ্টা করে যাচ্ছে। মেয়ের জামাই আব্দুল হকের এ রকম আচরণে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন শাশুড়ি।

 

উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড অজপাড়া বরিশাল পাড়ার মনোয়ারা বেগম(৪৫)  দাবী করেন, গত ১৭মে রাত সাড়ে ১১টায় বাথরুমে যেতে ঘরের বাহির হই। স্বামী ঘুমিয়ে থাকায় একা বাইরে আসলে পূর্বে উৎপেতে থাকা তার বড় মেয়ের জামাই আব্দুল হক(৩৫) অন্ধকারে পিছন থেকে আমায় জড়িয়ে ধরে ও শীলতাহানির চেষ্টা করে। মেয়ের জামাই আব্দুল হকের আচরণে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন তিনি। অনেক জোরাজুরি করে চিৎকার দিলে সে তাকে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি ঘরে গিয়ে তার স্বামীকে জানান।

 

তিনি আরো জানা,গত ৩বছর আগে আরেকবার সে একইরকম অপরাধ করে। শুধুমাত্র মেয়ের জামাই, মেয়ের সংসার ভেঙ্গে যাবে এবং লোক লজ্জার ভয়ে সেই বার চুপ করেছিলেন। তার বড় মেয়ে রহিমা বেগমের সাথে হকের ২০০৮ সালে তার বিবাহ হয়। তাদের সংসারে একজন ছেলে রয়েছে। মেয়ের জামাই মানে সন্তানের সমতুল্য। সেখানে তার বারবার এই কুরুচিপূর্ণ আচরণ তাকে বাধ্য করেছে মুখ খুলতে। তিনি ন্যায় বিচার পেতে আইনে আশ্রয় নেবেন বলে জানান তিনি।

 

এদিকে,  বিষয়টি নিয়ে শালিসে ডাকা হলেও আব্দুল হক শালিসে যোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন’কে মৌখিকভাবে জানায়। বর্তমানে আব্দুল হক পলাতক রয়েছেন।

 

মানবাধিকার কমিশন লামা উপজেলা শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, জামাই কর্তৃক শাশুড়ীর শ্লীলতা হানীর চেষ্টার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখ্য জনক। মানুষ কেন অমানুষ হয় ! তিনি খুব আক্ষেপ করে বলেন, পৃথিবীর বয়স হয়েছে। দিনে দিনে মানুষ নামক এই শব্দের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে ‘অ’ বর্ণটি। যোগফল কি দাঁড়ায় নিজেরাই দেখে নেবেন। তেমনি একটি বিকৃত মানসিকতার পরিচয় মিলেছে বান্দরবানের আমাদের লামা উপজেলায়। তাও নিজের মেয়ের জামায়ের হাতে লালসার শিকার শাশুড়ি নিজেই। এ বিষয়ে মনোয়ারা বেগমকে আইনি সহায়তা দেয়া হবে।

 

লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, বিষয়টি মনোয়ারা বেগম তাকে জানালে তিনি ১৮মে প্রাথমিকভাবে আব্দুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অস্বীকার কেেছন। তারপরেও সত্য উদঘাটনের জন্য ৫,৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বারদের তদন্ত করে খতিয়ে দেখার জন্য দায়িত্ব  েেদয়া হয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর. 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত