আগামী ৪জুন যষ্ঠ ধাপের রাঙামাটিতে ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনের (সিইসি) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(জেএসএস)।
স্মারকলিপিতে রাঙামাটিতে ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর অহেতুক হস্তক্ষেপ,অপপ্রচার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হয়রানির অভিযোগ এনে তা বন্ধেরও দাবী জানানো হয়েছে।
শুক্রবার জেএসএস-এর কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগের সদস্য বিনয় কুমার ত্রিপুরার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সারাদেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অংশ হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন ইউনিয়নগুলোর নির্বাচনও ৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠানের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন থেকেই রাঙামাটি জেলার ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিরাপত্তা বাহিনী যোগসাজসে নির্বাচন নিয়ে অহেতুক হস্তক্ষেপ, অপপ্রচার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হয়রানি ইত্যাদি নির্বাচন পরিপন্থী কার্যক্রম শুরু করে।
তারই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করা ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন ইউপি নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধ এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অজুহাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গত ২৪ মার্চ রাঙামাটি শহরে এক তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের আয়োজন করে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ‘সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে’ আওয়ামীলীগের অনেক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারার ষড়যন্ত্রমূলক ও ভিত্তিহীন অজুহাত তুলে। তারই প্রেক্ষিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন গত ২৭ এপ্রিল অতিক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৯ এপ্রিল এ জেলার ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
স্মারকলিপিতে দাবী করা হয়, আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত। জনসংহতি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করার হীন উদ্দেশ্যে আওয়ামীলীগ নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনী সহযোগিতায় এ ধরনের ষড়ষন্ত্রমূলক প্রচারণা চালাতে থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না করায় আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন হারিয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরা সেটা বুঝতে পেরে দলীয় নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস না করার কারণে দলীয় প্রতীক (নৌকা মার্কা) নিয়ে অনেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী ছিলেন না।
স্মারকলিপিতে রাঙামাটি জেলার ইউপি নির্বাচন স্থগিত করার সাথে সাথে আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসী অভিযান জোরদার এবং তৎপরতার বিবরণ তুলে ধরা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.