সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চতুর্থ পরিচালনা বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি।
সভায় অন্যন্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ,বোর্ডের সদস্য-অর্থ শাহীনুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এবিএম নাসিরুল আলম,বোর্ডের পরিচালনা সদস্য মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, সদস্য-প্রশাসন আশীষ কুমার বড়ুয়া, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বনিক, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ তানভীর আজম ছিদ্দিকী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য থোয়াই হ্লামং মারমা, বোর্ডের আইসিডিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন, বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীরা এবং উঁচুভূমি বন্দোবস্তীকরণ রাবার বাগান ব্যবস্থাপনা কমিটি জেনারেল ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) পুষ্প বিকাশ চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গেল ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত পরিচালনা বোর্ড সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের মে মাস পর্যন্ত সময়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা, আগামী ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্প বাছাই ও অনুমোদনের তারিখ নির্ধারণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে খাতওয়ারী ব্যয় ভূতাপেক্ষভাবে অনুমোদন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত চিটাগং হিল ট্রাক্টস লং ওয়ার্ক টু পিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট বইটি গেল ৮ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঢাকাস্থ বেইলী রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় মোড়ক উন্মোচন করেছেন বলে বোর্ড সভায় অবহিত করেন।
তিনি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নতুন স্কিম/প্রকল্প গ্রহণের কাজ আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সকলকে তিনি নির্দেশ দেন। এছাড়া তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত চারটি আবাসিক বিদ্যালয় এর সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে চারটি আবাসিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেন এবং শিক্ষাক্রমে সাফল্য অর্জনের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.