বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রজন্মলীগের উদ্যোগে পৌর টাউনহল চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
জেলা প্রজন্মলীগের সভাপতি মো. হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেনপ ার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নুরনবী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমা, মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, এ্যাড. আশুতোষ চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগেরসহ-সভাপতি মনির খাঁন, কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান হেলাল, যতন ত্রিপুরা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাড.জ্ঞান চাকমা, জেলা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. শানে আলম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি টিকো চাকমা, সাবেক সভাপতি ইকবাল বাহার প্রমূখ। শোক সভায় শোকবার্তা পাঠ করেন খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কে.এম ইসমাইল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রজন্মলীগের সাধারন সম্পাদক ক্যজই মারমা।
এর আগে প্রধান অতিথি পাজেপ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কদমতলিস্থ জেলা আ’লীগের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে শহরে শোক র্যালি বের হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পথ ভ্রস্ট খুনীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা হত্যা করেছে দেশের গরীব দু:খী মানুষের আশা-আকাঙ্খাকেও।
স্বাধীনতার দীর্ঘ ২১বছর পর যখনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাস্তবায়নে কাজ করছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ভিশন নিয়ে দেশ পরিচালন করছে ঠিক তখনি স্বাধীনতা বিরোধিরা আবারও বিভিন্ন সাজে, রং পাল্টিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রেতাত্নরাও খাগড়াছড়ির উন্নয়নকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি প্রজন্মলীগের সকলকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে ধারন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তুলতে খাগড়াছড়ি জেলার সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বে জেলার সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে প্রতিহত করার আহবান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.