লামায় রেহেনা বেগম(২৫) নামের এক গৃহবধুকে পাষন্ড স্বামী গিয়াস উদ্দিন শারীরিক নির্যাতন শেষে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের বাবা। ঘটনার পর পর ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়।
লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বাতেন টিলা এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত গৃহবধূর বাবা নুর হোসেন বলেন, রেহেনা বেগম ও গিয়াস উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেম ছিল। প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বিয়ের আগেই গর্ভে সন্তান আসে নিহত রেহেনার। গর্ভে সন্তান আসলে সামাজিকভাবে চাপ দিয়ে গিয়াসের অমতে জোর করে এক বছর আগে উভয়ে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর সংসার কখনও শান্তি ছিল না রেহেনার। বিয়ের ৬মাস পরেই তাদের সংসারে আসে একমাত্র সন্তানটি।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, তার মেয়ের হত্যাকারী স্বামী ও তার বাবা আবুল কাসেমকে পালিয়ে যেতে ১০ হাজার টাকা ও গাড়ী দিয়ে সহায়তা করেছে লামা বাজারের টিন ব্যবসায়ী মো. মিজানুল হক পিতা- আব্দুল গনি মেম্বার, গ্রাম-বমুর কুল ৬নং ওয়ার্ড বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন চকরিয়া কক্সবাজার।
এদিকে, পার্শ্ববর্তী লোকজনেরা জানান, প্রতিনিয়ত স্বামী,শ্বশুড় ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে হত রেহেনাকে। নিহত রেহেনা বেগম(২৫) একই এলাকার নুর হোসেন ও সাজেদা বেগমের মেয়ে। গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বমুর কুল এলাকায়।
লামা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা বেগম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বিষপান অবস্থায় লামা হাসপাতালে আনার সাথে সাথে রেহেনার মৃত্যু হয়। এসময় নিহত রেহেনার ঠোঁটে নাকে কাটা দাগ ছিল। তাছাড়া রেহেনার গোপন অঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্ত খনন ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আজমগীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,নিহত রেহেনা বেগমের লাশ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.