পার্বত্য চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৭৭তম জন্মদিবস উপলক্ষে রাঙামাটিতে দুদিন ব্যাপী কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এম এন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশন ও এম এন লারমা স্মৃতি গণপাঠাগারের উদ্যোগে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন এম এন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা।বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এম এন লারমার জ্যেষ্ঠ বোন জ্যোতিপ্রভা লারমা মিনু, এম এন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুপ্রভা চাকমা, এম এন লারমা স্মৃতি গণপাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা নান্টু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এম এন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ সজীব চাকমা।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদেরকে শুভেচ্ছা পুরস্কার বিতরণ করেন এম এন লারমার জ্যেষ্ঠ বোন জ্যোতিপ্রভা লারমা মিনু।
প্রতিযোগিতা শহরের বিভিন্ন স্কুলের প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণির প্রায় দুইশত শিশু শিল্পী অংশগ্রহণ করেছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিজয় কেতন চাকমা বলেন, শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্যই হলো শিশুদের মধ্যে এম এন লারমার জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে সচেতন করা। তাই এম এন লারমার জন্ম দিবসে কোমলমতি ছেলেমেয়েদের কেবল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে নিয়ে আসার মধ্যে শেষ নয়। নিজেদের ছেলেমেয়েদের এম এন লারমার আদর্শে গড়ে তোলা প্রত্যেক অভিভাবক ও মাতাপিতার কর্তব্য বলে তিনি স্মরণ করে দেন।
শক্তিপদ ত্রিপুরা তাঁর বক্তব্যে বলেন, এম এন লারমা শোষণ-বঞ্চনা মুক্ত একটি সমাজের স্বপ্ন দেখে গেছেন এবং আজীবন তার জন্য কাজ করে গেছেন। জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বপ্ন তিনি দেখিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি দেশের খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বরাবরই সোচ্চার ছিলেন। এম এন লারমার সেই মহান আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে তিনি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মসুচির দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা)।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মাধবীলতা চাকমা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নিরুপা দেওয়ানসহ এম এন লারমার স্কুলজীবনের সহপাঠিবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যা ৬ টায় রচনা ও স্বরচিত কবিতা প্রতিযোগিতা ও শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিরতণ করবেন অতিথিরা। পরে গিরিসুর শিল্পগোষ্ঠীর পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.