টাকা ধার দিয়ে বিপদে পড়ল এক পাওনাদার !

Published: 02 Oct 2016   Sunday   

ধারের কর্যে জর্জরিত চকরিয়ার বমু বিলছড়ির মঞ্জুর আলম নামের এক ব্যক্তি। এক পর্যায়ে কোন উপায় না দেখে এলাকা থেকে গেল দু’বছর পূর্বে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে যান।

 

পালিয়ে থাকা অবস্থায় যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে গেল ২৮ সেপ্টেম্বর মারা যায় মঞ্জুর আলম। মঞ্জুর আলম মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী ও ছেলে মিলে পাওনাদারের টাকা না দেওয়ার জন্য পাওনাদারদের বিরুদ্ধে অভিনব কৌশল গ্রহন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

অভিযোগে জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৪নং বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের মৃত জাকের হোসেনের ছেলে মঞ্জুর আলম(৫০) একই এলাকার পল্লী চিকিৎসক নুর আহম্মদের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সায়েম মিয়ার কাছ থেকে প্রথমে তামাক চাষের জন্য ধার হিসাবে ৮০ হাজার টাকা নগদে গ্রহন করেন। চুক্তি অনুযায়ী মঞ্জুর আলম ৮০ হাজার টাকা না দেওয়ায় সাইফুল ইসলাম এলাকার চেয়ারম্যানের বরাবরে আশ্রয় নিলে চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসির মধ্যস্ততায় মঞ্জুর আলম পাওনাদার সাইফুল ইসলামের কাছে মজুরি হিসাবে এ টাকা পরিশোধ করিবে বলে চুক্তি হয়।

 

এ অস্থায় দেনাদারদের কারণে মঞ্জুর আলম তার বসত ভিটা ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় সাইফুল ইসলামের নিকট। মঞ্জুর আলম মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম(৪৫) ও তার বড় ছেলে পাওনাদার সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চড়া সুদ দাবী করায় মঞ্জুর আলম মারা গিয়েছে মর্মে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দাখিল করেন বলে জানান সাইফুল ইসলাম।


এ বিষয়ে মঞ্জুর আলমের স্ত্রী রাবেয়া বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।


এ ব্যাপারে পাওনাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, মঞ্জুর আলম তামাক চাষের জন্য ধার হিসাবে তার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা চাইলে আমি তাকে ধারদি। মূলত র্দীর্ঘ দিন ধরে মঞ্জুর আলম অর্থাভাব থাকায় সাবলম্বি হওয়ার জন্য মূলত তাকে তিনি টাকা দেন।

 

দেনাদারদের কারণে মঞ্জুর আলম তার বসত ভিটা বিক্রি করতে চাইলে তিনি পরে জানতে পেরে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় তার কাছে। মঞ্জুর আলম মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম(৪৫) ও তার বড় ছেলে আমার বিরুদ্ধে চড়া সুদ দাবী করায় মঞ্জুর আলম মারা গেছেন মর্মে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দাখিল করেন ।


এলাকার ইউনিয়ন চেয়াম্যান মোঃ আব্দুল মতলব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মঞ্জুর আলম এলাকায় খুব বেশী ঋণ গ্রস্থ ছিল। সাইফুল ইসলামের সাথে মঞ্জুর আলমের লেনদেনের বিষয়টি তিনি ওয়াকিবহাল। তবে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা সত্য নয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত