লামায় অবৈধ গর্ভপাতের কারনে এক ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ

Published: 08 Oct 2016   Saturday   

লামায় ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর অবৈধ গর্ভপাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে ওই ছাত্রী খালাত ভাই কর্তৃক ধর্ষনের কারণে গর্ভে অনাগত সন্তান  হওয়ার কারণে লোকণজ্জার কারন গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত খরনে তার মৃত্যূ হয়েছে।

 

সুমাইয়ার মা লুৎফা বেগম(৪৮) জানান,ধর্ষক তাজুল ইসলাম সম্পর্কে তার ভাগিনা। পার্শ্ববর্তী হওয়ায় সে প্রায় তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। প্রায় চার মাস আগে তার ছোট মেয়ে সুমাইয়া বাড়ির উপরে পাহাড়ে গেলে সেখানে জোর করে তাজুল ইসলাম তাকে ধর্ষন করে। লজ্জায় সুমাইয়া বিষয়টি কাউকে বলেনি। ১০/১৫ দিন আগে মেয়ের গর্ভে সন্তান আসার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। পরে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে না বলে বনাজী ঔষধ প্রয়োগে অনাকাঙ্খিত গর্ভের সন্তানটি নষ্ট করতে গেলে তার প্রচুর রক্তখনন হয়। এতে গেল ২৭ সেপ্টেম্বর অসুস্থ মেয়েকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার আরো অবনতি হলে লামা হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গেল ২৯ সেপ্টেম্বর চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

 

তিনি আরো জানান, স্থানীয় সমাজের নেতৃবৃন্দরা বিষয়টি পরে সমাধান করে দেবে বলে তার  মেয়েকে কবর দেয়।  তিনি  তার   মেয়ের ধর্ষনের ও মৃত্যু বিচার দাবি  জানান। সুমাইয়া লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাষ্টার পাড়া এলাকার আলী আকবর(৫৫) ও লুৎফা বেগমের(৪৮) মেয়ে। সুমাইয়া মাতামুহুরী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত ধর্ষক তাজুল ইসলাম(২৩) একই এলাকার শামসুল হক এর ছেলে।

 

এদিকে সুমাইয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম ও তার বাবা সামশুল ইসলামকে এলাকা দেখা যাচ্ছে না বলে স্থানীয়রা  জানিয়েছেন। 

 অভিযুক্ত তাজুল ইসলামের বাবা শামসুল হক মুঠোফোনে  জানান, সমাজের সবাই বলছে তার  ছেলে ধর্ষন করেছে। কিন্তু আমি তা স্বীকার করি না।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খালেকুজ্জামান জানান,সুমাইয়ার মা লুৎফা বেগম  তাকে জানিয়েছেন তার মেয়ে অসুস্থ হয়েছে। তবে কি রোগ তা তাকে বলেননি। গেল ২৯ সেপ্টেম্বর সুমাইয়ার মৃত্যু হলে স্কুলের পাশে কবরস্থানে তাকে কবর দেয়া হয়।

 

রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা জানান, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। দরিদ্র অসহায় মেয়েটি ধর্ষনকারীকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

 

লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।  এ বিষয়ে কেউই থানায় অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ  পেলে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত