বান্দরবানের লামা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড হারগাজা ফকিরাখোলা এলাকায় গণরোশের গণপিটুনিতে দুই অপহরণকারীর মৃত্যু হয়েছে। গেল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে স্থানীয় চারজনকে অপহরণের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
মুহূর্তে শতাধিক লোকজন জড়ো হয়ে অপহরণকারীদের ঘেরাও করে। এদের মধ্যে দুই অপহরণকারীকে জনগণ গণপিটুনি ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু ঘটে বলে জানা গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এলাকার ২নং ওয়ার্ড মেম্বার কুতুব উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টায় হারগাজা এলাকার কয়েকজন লোক ডুলাহাজারা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় হারগাজা ফকিরাখোলা এলাকা পৌঁছালে ওতপেতে থাকা ডাকাত দল ৪জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতরা হল, মনু আলম (৬০) পিতা- মৃত- মমতাজ, কালা পুতু (৪০) পিতা- জামাল উদ্দিন, জহির আলম (৪২) পিতা- মো. হোসেন গ্রাম- হারগাজা ও জাবের আহামদ (৫৫) পিতা- মৃত নুর আহমদ গ্রাম- রোহিঙ্গা ঝিরি, ফাঁসিয়াখালী, লামা, বান্দরবান। রাতে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদারের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উইনিয়নের হারগাজা এলাকাটি অপহরণ ও ডাকাতের জন্য অভয়রাণ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের জান মালের কোন নিরাপত্তা নেই। ডাকাতেরা ওই এলাকার মানুষ নয়। তারা অপরিচিত।
অপহৃত ৪জন উদ্ধার ও ২ ডাকাতের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ডাকাতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত ডাকাতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গেল ২৮ জুলাই ফাঁসিয়াখালী ইউপি সাবেক মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আবছারকে অপহরন করে এই গ্রুপটি এবং অপহরণের ২০ঘন্টা পর ৩লক্ষ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় অপহরনকারীরা।
জেলা পুলিশ সুপার রঞ্জিত কুমার রায় বলেন, উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদ্বয় ব্যক্তিরা আসলেই অপহরণকারী ছিল কিনা এই ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.