রাঙামাটির বরকল উপজেলার আইমাছড়া ইউনিয়নের কলাবুনিয়া বাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারিতে কাজল বেগম (২৬) নামে এক মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত মহিলাকে বরকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গেল বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, গেল বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কলাবুনিয়া বাজারে জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে মোঃ আসাদ,শরীফুল নান্নুর সাথে সুমনের বাক-বিতন্ডা হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আসাদ শরীফুল ও নান্নু সুমন কে দোকান থেকে বের করে মারধর শুরু করলে সুমনের বোন কাজল বেগম ভাইকে বাচাঁতে এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষরা দা দিয়ে তার উপর আক্রমন করেন। এতে কাজল বেগম তার দু হাতে ও মাথায় গুরুতর আহত হন। পরে কাজল বেগমকে প্রথমে উপজেলা সদরের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
আহত কাজল বেগমের ভাই সুমন জানান, ২০ বছর আগে মোঃ আসাদের কাছ থেকে তার বাবা আবদুল লতিফ আকন্দ জমি ক্রয় করে। ওই জমিতে বর্তমানে তারা ভোগ দখলে রয়েছে। কিন্তু ওই জমি শরীফুল তাদের বলে দাবী করে আসছেন গেল কয়েক মাস ধরে। এমনকি আসাদ ও সেই জমি বিক্রি করে নাই বলে উল্টো কথা বলা শুরু করলে দু পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার পর মারামারি শুরু হলে তার দোকান ভাংচুর করে ২লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও তার বোনের গলার স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয় বলে তার অভিযোগ। সুমন আরো জানান, তাকে মারধরের হাত থেকে বাচাঁনোর জন্য তার বোন কাজল বেগম এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষরা দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর ভাবে জখম করে।
ঘটনার অভিযুক্ত শরীফুল ইসলাম ও আসাদ মারধরের কথা অস্বীকার করে জানান, তারা কোন কাজল বেগমকে মারধর করেননি। তাদের উল্টো অভিযোগ লতিফ আকন্দ তার ছেলে সুমন সুজন ও কাজলি বেগম তাদেরকে মারধর করেছেন। আসাদ মিয়া লতিফ আকন্দের কাছে কোন জমি বিক্রি করে নাই। ভুয়া দলিল করে লতিফ আকন্দ তার জমি ভূয়াঁ কাগজপত্র করে নিজেদের নামে করে নিয়েছেন বলে উল্টো আসাদ মিয়ার অভিযোগ। আসাদ মিয়া আরো জানান,ঘটনার পর থেকে তার জামাই নান্নুকে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না জানান।
এ ব্যাপারে বরকল মডেল থানার এস আই জীবন রায় চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মারামারি হয়েছে বলে লোক মুখে শুনেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। এখনো কোন পক্ষ থেকে মামলা করেননি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.