রোববার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জেলা উন্নয়ন কমিটির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদের পরিচালনায় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ডাঃ নিলু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, পুলিশ বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদ উল্লাহ, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোয়ালিটি চাকমা’সহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, কাপ্তাই লেকটি আমাদের জন্য একটি বড় সম্পদ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিস্তির্ণ এলাকা এবং বহু মানুষের সীমাহীন ক্ষতির মাধ্যমে এ লেকের সৃষ্টি হয়েছে। এ লেকের অন্যতম সম্পদ হচ্ছে মৎস্য সম্পদ। কিন্তু এক শ্রেণীর জেলে লেকে জাক দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সভায় মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন ও নৌ পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
সভায় আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ডাঃ নিলু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ১৯৯৭সালের চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহ গঠিত হয়েছে। এ দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বয় রেখে কাজ করলে এ জেলার উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদ উল্লাহ বলেন, জেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অন্যান্য জেলার তুলনায় স্বাভাবিক এবং সন্তোষজনক। পুলিশ বিভাগ সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধমূলক তথ্য সংগ্রহ করে সাধারণ জনগণ থেকে। তাই ভবিষ্যতেও যে কোন ধরনের অনৈতিক, অসামাজিক, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অপরাধমূলক তথ্য প্রদান করে পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা বলেন, নদী ভাঙ্গনের ফলে বাঘাইছড়ি উপজেলার তুলাবান এলাকাটি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভায় অবগত করেন।
সভায় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা জানান, সেপ্টেম্বর-নভেম্বর পর্যন্ত খাদ্য বান্ধব চাল গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এ কার্যক্রমে জেলায় এ পর্যন্ত ১৬হাজার ৪শত ৩০টি পরিবারে ১০টাকা হারে মাসিক ৩০কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় নিয়োগকৃত ৫২জন ডিলারের মাধ্যমে ১হাজার ৪শত ১৪মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করা হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.