অর্থ সম্পদ আত্মসাতসহ পিতাকে নানাভাবে নাজেহাল করায় শুক্রবার কাপ্তাইয়ে অসহায় এক পিতা কর্তৃক পুত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মলনে পুত্রের নানা ধরনের নির্যাতন ও জোর পুর্বক অর্থ সম্পদ আত্মসাতের নানাদিক তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম হারিজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার পুত্র আমিনুল হক কানন, স্থানীয় অধিবাসী মনু মিয়া, নুরুল হক প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দুই সংসারে তার ১২ছেলে-মেয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকার গ্রামের বাড়ীর সম্পদ ছেলে-মেয়েদের নামে সম বন্টন করা হয়েছে। কাপ্তাই উপজেলাধীন শীলছড়িতে রয়েছে তার বসত ভিটাসহ অনেক সম্পদ। এর মধ্যে প্রায় ১৭ একর জমিতে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সেগুন গাছসহ নানা প্রজাতির গাছের বাগান। ওই বাগানের গাছগুলো অনেকটাই পরিপক্ষ।
এ সমস্ত সম্পদ তার বড় ছেলে শফিউল আলম খোকন জোর পুর্বক দখল করে নিয়েছে। ইতিমধ্যে বাগান থেকে কয়েক কোটি টাকার গাছ বিক্রি করে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেছে। তার বাজার চৌধুরীর পদটিও ওই ছেলে জোর পুর্বক ছিনিয়ে নিয়েছে। এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করায় তাকে একাধিকবার মারধর করেছে বলে লিখিত অভিযোগে জানান তিনি।
এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য বক্তিদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হলেও ছেলের আচরনের কোন পরিবর্তন হয়নি। নিরুপায় হয়ে তিনি রাঙামাটি জেলা চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে ওই ছেলেকে গেল ২০১৩ সালের ৯ মে ত্যাজ্যপুত্র করেন। এতেও ক্ষান্ত না হওয়ায় ওই পুত্রের বিরুদ্ধে আলহাজ্ব একেএম হারিজ কাপ্তাই থানা ও ইউএনও অফিসে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছেলে শফিউল আলম খোকনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। তাকে ও তার সন্তানদের সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার জন্যই কারো প্ররোচনায় তার পিতা এ ধরনের কান্ডজ্ঞানহীন কাজ করছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.