বান্দরবানে পাচারের উদ্দেশ্য রাখা একটি আবাসিক হোটেল থেকে ৪ পাহাড়ী শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় পাচারকারী দুজনকে আটক করা হয়। রোববার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ চার শিশুকে উদ্ধার ও পাচারকারী চক্র ২জনকে আটক করে।
উদ্ধার হওয়া শিশুদের পাচারের উদ্দেশ্যে নয়, বৌদ্ধ ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্মে ধমান্তরিত করতে এবং সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে মাদ্রাসায় নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, সোমবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুুপার সঞ্জিত কুমার রায় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উদ্ধার হওয়া শিশুরা সবাই বৌদ্ধ ধর্মের। তাদের অভিভাবকদের লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসায় রেখে পড়ালেখার সুযোগের নামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গেল রোববার রাতে শিশু পাচার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শহরের অতিথি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে চার পাহাড়ী শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া শিশুরা সবাই মারমা সম্প্রদায়ের ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারি। তাদের সবার বয়স ১০ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। এসময় আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৪) ওরফে মংশৈপ্রু ত্রিপুরা আটক করে পুলিশ। তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেছেন। তার বাড়ি শহরের ইসলামপুর এলাকায়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ হাসান (২৫) নামের আরো একজনকে আটক করে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লায়। এ সময় সুমন খেয়াং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। উদ্ধার শিশুদের বাড়ী রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের বেতছড়া মুখ, বৈদ্য পাড়া ও হেডম্যান পাড়া এলাকায়।
আটক মংশৈপ্রু ত্রিপুরা জানান, মো: হাসানের কথায় রোয়াংছড়ি উপজেলা বিভিন্ন জায়গা থেকে শিশুদের তিনি শহরে এনেছেন।
মো: হাসান জানান, ঢাকার মীরপুরের একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করানোর জন্য তিনি শিশুদের নিয়ে আসতে বলেছিলেন। তবে চার শিশু যে পাহাড়ি তা তিনি জানতেন না।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ জানান, ধর্মান্তরিত আবু বক্কর সিদ্দিক ঢাকায় বিনা খরচে পড়ালেখা করানোর কথা বলে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের বেতছড়া মুখ, বৈদ্য পাড়া ও হেডম্যান পাড়া থেকে চার শিশুকে শহরে নিয়ে আসে। শিশুদের অভিভাবকদেরকে আবু বক্কর ঢাকায় বিনা খরচে পড়ালেখা করানোসহ নানান লোভ দেখায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.