বরকলে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী উত্ত্যাক্তের অভিযোগ

Published: 10 Jan 2017   Tuesday   

রাঙামাটির বরকল উপজেলার ডানের আইমাছড়া সাক্রাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী উত্ত্যাক্তের অভিযোগ করছে স্বয়ং ছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকার লোকজন। তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে ২৫জনের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 

 ঘটনার শিকার  স্কুল ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা জানান, বরকল উপজেলার ডানের আইমাছড়া সাক্রাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম গেল কয়েক মাস ধরে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ৩জন ছাত্রী ও চতুর্থ শ্রেনীর ২জন ছাত্রীকে নানা ভাবে উত্ত্যাক্ত করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে ও ক্লাস করার সময় তাদের পেছনের বেঞ্চে আলাদা করে বসিয়ে তাদের বুকে ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। ওই শিক্ষকের ভয়ে ছাত্রীরা প্রথমে সহ্য করলেও পরে তাদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। অভিভাবকরা বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষক সুবেশ ধন চাকমাকে মৌখিকভাবে জানালে তারা বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু বিচার না পাওয়ায় তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানালেন ঘটনার শিকার ছাত্রীদের অভিভাবক প্রিয়ময় চাকমা,নিল কুমার চাকমা ও কুমদিনী চাকমা।

 

তারা আরো জানান, এ বিষয়ে রাঙামাটি পার্বত্য  জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,জেলা প্রশাসক,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,থানা অফির্সাস ইনচার্জ,আইমাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বরাবরে অবগতির জন্য অনুলিপি  দিয়েছেন।

 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার চাকমা জানান- ঘটনার শিকার ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যটা পাওয়া যায়। এখন এলাকার অনেকেই ছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। তবে এ ব্যাপারে সুষ্ঠ বিচার হওয়া দরকার।

 

 অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সবই মিথ্যা ও বানোয়াট। তাকে ওই বিদ্যালয় থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলতাব হোসেন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেটি সমাপনী পরীক্ষার আগে। তখন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে কয়েকদিন আগে যেহেতু লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে সেই ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়টি অবগত রয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা থেকে তদন্ত কমিটি করে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত