খাগড়াছড়িতে পাল্টাপাল্টি হামলা ঘটনায় উভয় গ্রুপের আটক ৫

Published: 21 Jan 2017   Saturday   

খাগড়াছড়িতে পাল্টাপাল্টি হামলা ঘটনায় উভয় গ্রুপের পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

এদিকে,আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক  জেলা পরিষদর সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী কে মারধর করার প্রতিবাদে ও সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবীতে খাগড়াছড়ি জেলাসহ ৮টি উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে মন্দিরে শনিবার সকাল থেকেই কালো ব্যানার উত্তোলন করেছে।

 

জানা যায়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রইছ উদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায়  জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরী এবং সাংবাদিক লিটন ভট্রাচার্য্য রানাসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা করেছেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম। দুই গ্রুপের সহিংতার জেরে পৃথক মামলায় উভয় গ্রুপের পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশাসন উভয় পক্ষকে সকল কর্মসূচী স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছে।

 

সদর থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ হান্নান  জানান, মো. রইছ উদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার রাতে  পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম বাদী হয়ে  জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি কংজরী চৌধুরীসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করেছেন। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামী করা হয়েছে।

এদিকে গেল বুধবার রাতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমের অনুসারী শুক্কুর মিয়া ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার অনুসারী জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক মামলায় উভয় গ্রুপের পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

আটককৃতরা হচ্ছেন, খাগড়াছড়ি শহরের শালবনের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিনের দুই ছেলে মো. জামাল উদ্দিন(২৫) ও মো. কামাল উদ্দিন, কুমিল্ল ািটলার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. মামুন মিয়া(২২), নজির আহমেদের ছেলে মনির হোসেন(৩৬) ও আবুল কাসেমের ছেলে নুরু আহম্মদ।

 

এদিকে, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক  জেলা পরিষদর সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী কে মারধর করার প্রতিবাদে ও সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবীতে খাগড়াছড়ি জেলাসহ ৮টি উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে মন্দিরে শনিবার সকাল থেকেই কালো ব্যানার উত্তোলন করেছে। সনাতনি সমাজের চারটি সংগঠনের উদ্যোগে রোববার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি, মুক্তিযোদ্ধাদের হরতাল কর্মসূচি, এবং আওয়ামী লীগের একাংশ জাহেদুল আলমের মানববন্ধন কর্মসূচি প্রশাসনের অনুরোধে স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী (বিপিএম সেবা)  বলেন, জেলার আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের অবস্থান কঠোর রয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসন উভয় গ্রুপের সাথে বৈঠক করে সকল কর্মসূচীর স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। অনুরোধ রক্ষা না করলে পুলিশ সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

 

উল্লেখ্য,গেল  খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর পর থেকে প্রতিনিয়ত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমের অনুসারীদের পাল্টা-পাল্টি হামলা, মামলা ও ভাংচুরে লিপ্ত হয়ে আসছে। এ সময় উভয়ের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি মামলা, হামলায় উভয়ের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী-পথচারী আহত হয়েছেন।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত