খাগড়াছড়ির আলুটিলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে আথিক সহায়তা সমবেদনা জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
রোববার ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বার্তায় বলা হয়, রোববার ইউপিডিএফ নেতা উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমার নেতৃত্বে ও খাগড়াছড়ির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ১৫ সদস্যের একটি দল শোকাহত পরিবার ও স্বজনদের সমবেদনা জানাতে মহালছড়ি সদরের চংড়াছড়ি গ্রামে যান। এসময় মহালছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ক্যচিংমং চৌধুরী, মহালছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সোনারতন চাকমা, কিয়াংঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিশ^জিৎ চাকমা, মাইসছড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শান্তশীল চাকমা, মহালছড়ি সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান লাব্রেচাই মারমা, চংড়াছড়ি গ্রামের কার্বারী চুইচিনু মারমা ও স্থানীয় ইউপিডিএফভুক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।
প্রতিনিধি দলের মধ্যে আরো ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সাবেক পৌর কমিশনার কিরণ মারমা, রবিশংকর তালুকদার, অনুপম চাকমা, খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রণিক ত্রিপুরা, ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক রিকো চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা জহেল চাকমা ও এল্টন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা চুইসিং চৌধুরী ও নিদর্শন খীসা এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেনাকি চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি দ্বিতীয়া চাকমা।
এ সময় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা ও গ্রামের লোকজন তাদের ঘিরে ধরেন। ঘটনার দুই দিন পরও সারা গ্রামে তখনো বিরাজ করছিল শোকের কালো ছায়া। ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে নিহত নেই¤্রা মারমা, টুনটুনি মারমা, ববি মারমা, উচুনু মারমা, মাথিং মারমা ও অংক্যচিং চৌধুরীর পরিবারদের সদস্যদের হাতে আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়।
আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করেন চাইলাগ্য মারমা, চলাপ্রু মারমা, মংমং মারমা ও মংক্রক চৌধুরী। তারা আর্থিক সাহায্যের জন্য ইউপিডিএফের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইউপিডিএফ নেতা উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা বলেন,‘খাগড়াছড়ির আলুটিলায় ট্রাক চাপায় মানুষ মারার ঘটনাকে আমরা নিছক দুর্ঘটনা বলে মেনে নিতে রাজী নই। এটা একটি মাস মার্ডার বা গণহত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। ট্রাফিক আইন ও গাড়ি চালনার নিয়ম বিধি মানা হলে এবং প্রশাসন পূর্ব থেকে ঐদিন আলুটিলায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিলে এই বিয়োগান্তক ঘটনা অবশ্যই এড়ানো যেতো।’
তিনি আরো বলেন, ‘সকল দিক থেকে ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। এমনকি এটা কোন সন্ত্রাসী হামলা কীনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার।’
প্রতিনিধি দলের নেতারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তি, নিহতদের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। তারা বলেন জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যে আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়েছে তা নিতান্তই অপ্রতুল, কেবল দায় এড়ানো, লোকদেখানো ও প্রচারণার জন্য এটা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল ৩ ফেব্রুয়ারী খাগড়াছড়ির আলুটিলা এলাকায় ধাতুচৈত্য বৌদ্ধ বিহারে প্রয়াত বৌদ্ধ ভিক্ষু ভদন্ত চন্দ্রমনি মহাস্থবিরের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় রাস্তার পাশে একটি চলন্ত ট্রাক ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়লে আট জন মারা যান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.