পাহাড় থেকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে আগামী নির্বাচনে সংসদীয় আসনটি পুনরুদ্ধার কঠিন

Published: 27 Feb 2017   Monday   

সোমবার রাঙামাটিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর সন্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

 

রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সন্মেলনে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিদায়ী আহবায়ক জাকির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।

 

বক্তব্যে রাখেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বরসহ অন্য নেতারা। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

 

সন্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকালে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এর  মধ্যে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন তিনজন। তারা হলেন, মো. শাওয়াল উদ্দিন, জামিল মোস্তফা ও অলিভ চাকমা ইতিময় এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন তিনজন। তারা হলেন, কাজী আবদুস সালাম, মো. শাহজাহান ও মোমিত বড়ুয়া টিংকু। এতে ৯০ জন কাউন্সিলর অংশ নিয়েছেন। তবে ফলাফল এখনও জানা যায়নি।

 

সম্মেলনে বক্তারা পাহাড় থেকে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি বন্ধ না করতে পারলে আগামী নির্বাচনে সংসদীয় আসনটি পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে উল্লেখ করে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী জানান।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিন পার্বত্য জেলায় উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত করতে একটি মহলবিশেষ উঠেপড়ে লেগেছে। নেতাকর্মীদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

 

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু কাওসার মোল্লা এমপি বলেন, শান্তি চুক্তির আগে পাহাড়ে অনেক রক্ত ঝরেছে। প্রাণ দিতে হয়েছে বহু লোককে। কিন্তু শান্তি চুক্তি পরবর্তী হানাহানির অবসান হলেও আবারও পাহাড়ে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

 

আজকে পার্বত্য শান্তি চুক্তি পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন, ভূমি ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হচ্ছে। এসব দাবি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক। কিন্তু যারা এসব দাবির কথা বলেন, তারা ২০০১ সালের নির্বাচনে এখানে দীপংকর তালুকদারকে জোর করে হারিয়ে বিএনপির চট্টগ্রামে দিয়ে দশ ট্রাক অস্ত্রচালানের পথ সুগম করে দিয়েছিলেন।

 --হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত