সন্ত্রাসীদের গডফাদার ওয়াদুদ ভূইয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান থাকার সময় শুধু আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর তান্ডব চালাননি। তাঁর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বিএনপি ত্যাগী নেতাকর্মীরাও। তিনি (ওয়াদুদ) উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়ে জনগণের কোটি কোটি আতœসাত করে চোরের মত খাগড়াছড়ি হতে পালিয়ে ঢাকায় বসে এখন রাজনীতির নামে পাহাড়ের শান্ত পরিবেশকে নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার বিকালে মাটিরাঙ্গায় যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর জনসভায় খাগড়াছড়ি আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এসব কথা বলেন। মাটিরাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে মাটিরাঙ্গা মুক্তমঞ্চে মাটিরাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মাহামুদুল হক। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রণবিক্রম ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা’র মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জাহেদুল হক সোহেল মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল হক, সহ-সভাপতি কালাচাঁন বণিক, সাধারন সম্পাদক সুভাষ চাক্মা, জেলা আওয়ামলিীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক দিদারুল আলম, জেলা যুবলীগ সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাঃ সম্পাদক শাহিনা আক্তার, জেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মংশিপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা যুবলীগের সাঃ সম্পাদক সাধারন সম্পাদক কে.এম ইসমাইল হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন সরকার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল বাহার, সাধারন সম্পাদক মংসাপ্রু মারমাসহ জেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সিনিয়র নেতাকর্মীবৃন্দ। এর আগে জেলা আ‘লীগের সহ-সভাপতি রণবিক্রম ত্রিপুরার নেতৃত্বে মাটিরাংগা পৌর এলাকায় বিশাল র্যালী করে যুবলীগ। সমাবেশে বিএনপি সমর্থিত বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সঙগঠনের বেশকিছু নেতাকর্মী আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। আওয়ামীলীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না এমন দাবী করে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ওয়াদুদ ভূইয়া’র উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে তাঁর বিরুদ্ধে কোন মামলা করা হয়নি। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা তার অপকর্মকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলেও দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁকে ছাড়েনি। উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা আত্মসাত করায় খাগড়াছড়ির মানুষ সন্ত্রাসী ওয়াদুদকে আর চায় না। এসময় তিনি আরও বলেন, শান্তি চুক্তিকে বাঁধাগ্রস্ত করতে বিএনপি নেত্রী খাগড়াছড়িতে লংমার্চ করেছিলেন। এখানকার বিএনপি নেতারা চুক্তি নিয়ে মিথ্যাচার চালিয়েছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে, বাঙ্গালী গুচ্ছগ্রাম উঠে যাবে। এক মিনিটের জন্য ক্ষমতায় গেলে শান্তি চুক্তি বাতিলের হুশিয়ারী ৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও পারেনি। কারণ শান্তিচুক্তি আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তিনি বিগত গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ আওয়ামীলীগ বসানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি জেলাসহ তিন পার্বত্য জেলায় যোগাযোগ-স্বাস্থ্য-অবকাঠামো-শিক্ষা এবং সমাজের প্রতিটি সেক্টরে বৈপ্ল¬বিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের একটি মডেল জেলা হিসেবে খাগড়াছড়িকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়ার জন্য জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দেশ বিরোধী রাজনীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি কখনো জনগণের মঙ্গল চায়নি। তাঁরা স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শেষ করতে চেয়েছে। দেশের জনগণের সমর্থন হারিয়ে তাঁরা নিজেরাই এখন শেষ হতে চলেছে। তিনি মাটিরাঙ্গা যুবলীগের বিশালাকার আয়োজনের উদাহরণ টেনে বলেন, সমতলের মত পাহাড়ী জনপদের এই জন সভায়ই বলে দিচ্ছে, দেশে বিএনপি’র প্রতি মানুষ কতটা বিরক্ত।
–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.