পাহাড়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে –দীপংকর তালুকদার

Published: 11 Nov 2014   Tuesday   

বণার্ঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে রাঙামাটিতে মঙ্গলবার যুবলীগের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ে এখন অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে। প্রতিদিন চাদাঁবাজী, অপহরণ, খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে। যতক্ষন পর্যন্ত পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হবে ততক্ষন পর্যন্ত পাহাড়ি -বাঙ্গালীর মঝে শান্তি আসার কোন সম্ভবনা নেই।  তিনি আরও বলেন,পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে একদিন না একদিন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা হুমকীর মুখে পড়বে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী। বক্তব্যে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সদস্য মিন্টু মারমা, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী মনোয়ারা বেগম, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আবুল হাসেম, জেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, সদর থানা যুবলীগের সভাপতি আবু মুছা, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এম,এন সরোয়ার, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম মুন্না, পৌর মৎস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কান্তি দেব, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুস  সালামসহ জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও অন্যান্য অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল। এর আগে শহরের রির্জাভ বাজার থেকে দলীয় কার্যালয পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। অনুষ্ঠানে কেক কেটে যুব লীগের প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর সূচনা করেন দীপংকর তালুকদার। দীপংকর তালুকদার তার বক্তব্যে বলেন,বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হলে পাহাড়ে হবেনা কেন ? কিছুদিন আগে পুলিশের গুলি চুরি করে পাহাড়ে বিক্রি করার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন ,যে গুলি চুরি করেছে পুলিশ তাকে ধরেছে, কিন্তু তারপর আর কোন খবর কেউ জানেনা। যে গুলি চুরি করেছে সে যেমন অপরাধী ,আর সে গুলি যারা কিনে ব্যবহার করেছে তারাও সমান অপরাধী। যারা এসব গুলি কিনেছিল তাদের কি হয়েছে তা কেউ জানেনা। তিনি সম্প্রতি ভারতের মিজোরামে বাংলাদেশী যুবকের অস্ত্রসহ আটক হওয়ার ঘটনার কথা তুলে ধরে বলেন, ভারত -বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত আছে যে, কোন দেশই তার ভূখন্ডে কোন সন্ত্রাসীকে আশ্রই প্রশয় দেবেনা। সে চুক্তি অনুযায়ী এ বিষয়ে তদন্ত ও বিচার হওয়া দরকার। তা না হলে উভয় দেশের মধ্যে সর্ম্পক নষ্ট হতে পারে । আর তাই পার্বত্য এলাকার প্রশাসনের ভূমিকাকে সক্রিয় ও গতিশীল করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন,একই সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাহাড়ের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজে যুবলীগের কর্মীদের ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যখন পার্বত্য এলাকাকে অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার জায়গা হিসাবে তৈরী করতে কিছু করার চেষ্ঠা করছি তখনি নানা ভাবে বাধা আসছে। এ সব বাধা অতিক্রম করে কাজ করে যেতে তিনি যুবলীগসহ আওয়ামীলীগের সকল নেতা কর্মীর প্রতি আহবান জানান।

–হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত