মনোমুগ্ধকর চিরহরিৎ পরিবেশে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে শৈলকুঠির রির্সোট। চারপাশে সবুজাভ প্রকৃতি।
উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘেরা ওয়াইহ্লা কার্বারী পাড়া ও বণিক পাড়া সন্নিহিত মাতামুহুরী নদীর কুলঘেঁষে পাহাড়ের ঢালে মনোরম পরিবেশে শৈলকুঠির রির্সোটির অবস্থান।
সরেজমিনে দেখা যায়, রির্সোটের জন্য নির্বাচিত স্থানটি খরস্থোতা মাতামুহুরীর তীর ঘেঁষে একটি পাহাড়। এখান থেকে দেখা যায় দিগন্ত বিস্তৃত গ্রন্থিল পাহাড় আর মাতামুহুরী নদীর পাশে সবুজাভ বন।
রিসোর্ট এলাকাটি মার্মা ও বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের বসতির মাঝামাঝি স্থানে। যেখানে বিরাজ করে পাহাড়ি-বাঙ্গালীর বর্ণিল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আবহ।
রির্সোটের উদ্যোক্তাদের একজন আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ জানান, আলীকদমে এ পর্যন্ত কোন আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেনি। সরকারিভাবে রেস্ট হাউজ সুবিধাও তেমন নেই। তাই আমরা পর্যটকদের কথা বিবেচনায় রেখে রিসোর্ট ও কটেজ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। পরিকল্পনামতে অগ্রসর হতে পারলে ঈদের আগেই ঝমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শৈলকুঠির রির্সোটের উদ্বোধন করা হবে। এরপর সর্বসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে। বিশেষ করে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আমাদের রিসোর্ট থেকে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
শৈলকুঠির রিসোর্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাংবাদিক আল-ফয়সাল বিকাশ জানান, ‘আলীকদম উপজেলার ঐতিহাসিক ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমাদের এ রিসোর্টের নামকরণ করা হয়েছিল ‘এংখ্যং রিসোর্ট’। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নামকরণ পাল্টে নতুন নামকরণের প্রস্তাব আসায় লটারীর মাধ্যমে ‘শৈলকুঠির রিসোর্ট’ নামকরণ করা হয়। আগামী ঈদের আগে রিসোর্টের ৩টি কটেজ ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করা সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে কটেজের সংখ্যা’। ইতোমধ্যে রিসোর্টের আভ্যান্তরীণ রাস্তা ও বিনোদনস্পটগুলো তৈরী করা হয়েছে।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা-চট্রগ্রাাম থেকে বাসে করে চকরিয়ায় নামতে হবে। চকরিয়া বাস স্টেশন থেকে বাস অথব জীপ গাড়িযোগে আলীকদম বাস স্টেশন নেমে রিক্সা অথবা অটোযোগে শৈলকুঠির রির্সোট যাওয়া যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.