 
     
      
    কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমীনের উদ্যোগে বদলে গেলো একটি ঘাটের পরিবেশ। এখন আর সেখানে কেউ ময়লা ফেলে না। মল-মূত্রও ত্যাগ করেন না। ঘাটটি উপজেলা পরিষদের অফিসার্স ক্লাবের পাশে।
কাপ্তাই উপজেলা সদর থেকে চিৎমরম ইউনিয়নের উজানছড়ি এবং ওয়াগ্গা চা বাগানে যেতে মানুষ প্রতিদিন এঘাট দিয়ে নদী পার হয়। এছাড়া প্রতি বুধবার সাপ্তাহিক বাজারের দিন হাজার খানেক মানুষ যাতায়াত করে থাকেন এঘাট দিয়ে। ঘাটে এতদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলাসহ মল-মূত্রও ত্যাগ করত মানুষ। বসতো মাদকসেবীদের আড্ডা। এখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমীনের উদ্যোগে ও উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেনের সহযোগিতায় ঘাট এলাকাটি পরিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে একটি ‘টি স্টল’ তৈরির সিন্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমীন বলেন, ‘ঘাটটি উপজেলা পরিষদের অফিসার্স ক্লাবের পাশেই। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোক যাওয়া-আসা করে। প্রথম দিন মনে হয়েছিল- এটা ঠিক ঘাট না, ময়লার ভাগাড় কিংবা মূত্রত্যাগের স্থান।’ ইউএনও আরও বলেন, ‘ছোট্ট উদ্যোগে জায়গাটি রুপ নিচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের অপেক্ষার স্থানে।এখানে ` টি স্টল`হলে মনোরম একটি পরিবেশ বিরাজ করবে।এ জন্য সহযোগিতা করেছে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ।’
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীরা খুব বিরক্তি নিয়ে নাক চাপা দিয়ে জায়গাটি দ্রুত পার হতো। নৌকা আসতে দেরি হলে অপেক্ষমাণ লোকজন কোথাও বসার সুযোগও ছিল না। সন্ধ্যায় এই জায়গাটি মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল। কেউ কেউ মল-মূত্রত্যাগও করতো।
কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ আর. লিমন বলেন, ‘আগে এই জায়গাটি দিয়ে চলাচল করা কঠিন ছিল। ইউএনও স্যার কাপ্তাই যোগদান করার পর এটিকে নতুন করে সাজিয়ে `টি স্টল` করার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে শত শত ছাত্রছাত্রীসহ বাজারে আসা যাওয়া করা মানুষগুলোর খুব উপকার হয়েছে।’ ইউএনও `র এই উদ্যোগকে সকলে সাধুবাদ জানি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.