পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, আগামী সংসদ অধিবেশনে পার্বত্য ভুমি কমিশন আইন পাসের মাধ্যমে পার্বত্য শান্তি চুক্তির অবশিষ্ট ধারাগুলি বাস্তবায়ন করা হবে।
১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসংহতি সমিতির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদন করা হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির বেশি সংখ্যক ধারা ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগ সরকার বাস্তবায়ন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সব চেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ভুমি সমস্যা। এ সমস্যাকে সমাধানের জন্য সরকার ইতোধ্যে ভুমি কমিশন গঠন করে আন্তরিকতার সাথে ভুমি সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করে অবসর প্রাপ্ত একজন বিচারপতিকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ও কুহালং ইউনিয়ানে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার উন্নয়ন মুলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
যেসব প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো হল কুহালং ইউনিয়ানের তুংখ্যাং পাড়া বৌদ্ধ বিহার,ফ্রাংকো হিল চাইল্ড হোমের ছাত্রাবাস,৭নং রাবার বাগান বৌদ্ধ বিহার, ৯নং রাবার বাগান বৌদ্ধ বিহার, ৯নং রাবার বাগান এলাকায় রাস্তা ও কালভার্ট নির্মান, তাইংখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উঠার সিড়ি ও রাস্তা নির্মান,তাইংখালী সংঘমিত্তা জুনিয়ার হাই স্কুল ভবন, ঝংকার পাড়ায় ফুট ব্রিজ,ঝংকার পাড়া বৌদ্ধ বিহার,ক্যাংড়াছড়ি যুব ক্লাব ও ডলুপাড়া বৌদ্ধ বিহারের সংলগ্ন সাধুমা বসবাসের ভবন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, সদর সার্কেলের এএসপি রাশেদুল হক চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ অংসুইপ্রু মারমা, জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবানের উপ সহকারী প্রকৌশলী নুর হোসেন,ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী জীবেন্দ্র লাল বড়ুয়া,বান্দরবান সদর থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ পিপিএম কুহালং ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান সানাপ্রু মার্মা,রাজবিলা ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান ক্যচিংশৈ মারমা প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্থাপনের পুর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের আকাশ বাতাস বারুদের গন্ধে ভরপুর ছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে না। এমন কোন দিন ছিল না যখন কোথাও না কোথাও লাশের গন্ধ পাওয়া যেত। কিন্তু পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের পর আজ আর পার্বত্য চট্টগ্রামের আকাশ বাতাস মুক্তস্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে উন্নয়নের দিক দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে স্থান করে নিতে পারবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.